সুন্দর বনের উপকূল এলাকার নদ-নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে লাখো মানুষ
- আপডেট সময় : ০৫:২১:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৭৯৯ বার পড়া হয়েছে
সুন্দর বনের উপকূল এলাকার নদ-নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে লাখো মানুষ। কিন্তু প্রজনন মৌসুম দেখিয়ে কোন সহায়তার ব্যবস্থা না করেই ৯২ দিনের জন্য সুন্দরবনের নদ-নদীতে মাছ, কাঁকড়া ধরা নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে বিপাকে পড়েছে সুন্দরবনের জেলেরা। বন অধিদপ্তর বলছে, খাদ্য সহায়তার জন্য আন্ত-মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দর বন। উপকূলীয় এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ কোন না কোন ভাবে এই বনের ওপর নির্ভরশীল। বছর জুড়ে বনের মধ্যে বয়ে চলা নদ-নদীতে মাছ ধরার বৈধ পাশ, পোনা আহরণ, মাছ ধরে ও শুটকি বানিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে লাখো মানুষ।
কিন্তু মাছের প্রজনন মৌসুমের কথা বলে ২০১৯ সালে মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ জুন থেকে পরবর্তী ৯২ দিন সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে বন বিভাগ। এই নিষেধাজ্ঞায় আয় রোজগার বন্ধ হয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় জেলেরা।
মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, সমুদ্রগামী জেলেদের সহযোগিতা করা হলেও সুন্দরবনে জেলেদের সহযোগিতার ব্যবস্থা নেই। তবে সুন্দরবনের জেলেদের ভিজিএফ’এর আওতায় আনা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
আর বন অধিদপ্তর বলছে, জেলেরা যাতে খাদ্য সহায়তা পায় সের জন্য আন্ত-মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। শীঘ্রাই এই সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা ।
বন বিভাগের হিসেবে, সুন্দরবনে দুই শতাধিক নদী ও শত শত খাল রয়েছে। যেখানে বিচরণ করে ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া।