সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেলেন নিথর মাহবুব
- আপডেট সময় : ০৩:০১:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ১৯১৭ বার পড়া হয়েছে
বিনোদন প্রতিবেদক : নিথর মাহবুব। দেশের একজন নন্দিত মূকাভিনয় শিল্পী। কথা ছাড়াই অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করেন তিনি। শিশু–কিশোরদেরকাছে মূকাকু হিসেবে রয়েছে তার বিশেষ পরিচিত। তাকে বাংলাদেশের মূকাভিনয় শিল্পের কাণ্ডারী বলা হয়।
মূকাভিনয়ের বাইরে মঞ্চ ও টিভি নাটকে অভিনয় করেও তিনি দর্শকদের মুগ্ধ করছেন। সম্প্রতি তিনি নির্মাণ করেন ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’ নামের একটিস্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এটি নির্মাণের পাশাপাশি তিনি অভিনয়ও করেছেন। সিনেমাটিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য ‘আন্তর্জাতিক বাভাসি চলচ্চিত্র উৎসব–২০২৩’ সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন।
প্রথমবার সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়ে আনন্দিত নিথর মাহবুব। তিনি বলেন, পর্দার অভিনয় জীবনে এটাই আমার প্রথম পুরস্কার। আমাকে পুরস্কৃতকরার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সংশ্লিষ্টদের কাছে।
পুরনো একটি কথা টেনে এই অভিনেতা বলেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে মাসব্যাপী চলচ্চিত্র নির্মাণের কর্মশালা করেছিলাম প্রয়াত পরিচালকশিবলী সাদিকের তত্ত্বাবধানে। চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেক গুণী মানুষরা সেখানে প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে চিন্তা করলাম চলচ্চিত্র নির্মাণ করব। তাইসহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করলাম একটি সিনেমায়। পরে দুটি ধারাবাহিক নাটকেও সহকারী পরিচালকের কাজ করি। একসময় উপলব্ধি হলোআমার জন্য পরিচালনা না। তাই প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের পরেও নিজে কিছু নির্মাণ করিনি।
যোগ করে বলেন, বছর চারেক আগে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিযোগিতার সংবাদ সম্মেলনে গেলে আয়োজকদের একজন বললেন, নিথর ভাইআপনি না মাইম করেন, মাইম নিয়ে একটা ছোট চলচ্চিত্র বানিয়ে দিন এই প্রতিযোগিতায়। আমারও মনে হলো একবার বানিয়ে দেখি কেমন বানাতে পারি।ছোট থেকে শুরু করব ভাবলাম। তাই বানালাম একটি চলচ্চিত্র ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’। সেটা মেইলে আয়োজকদের কাছে পাঠাই।
আয়োজকরা সংবাদ সম্মেলনে বলেছিল মেইল পাবার পর তারা প্রত্যেককে ফিরতে মেইলে প্রাপ্তির কথা জানাবে। কিন্তু আমি আয়োজকদের কাছ থেকেকোনো সাড়া পাচ্ছিলাম না।
যে–সব চলচ্চিত্র আয়োজকদের কাছে যাচ্ছিল তারা সেগুলো একটা ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করছিল। প্রতিদিন খেয়াল রাখছিলাম কিন্তু আমারটা তারাপ্রকাশ করছিল না। মন খারাপ হলো। ভাবলাম আমারটা কিছুই হয়নি, প্রকাশের যোগ্য হয়নি বলেই তারা আমার মেইলের উত্তর দেয়নি এবং তাদেরচ্যানেলে সিনেমাটি প্রকাশ করেনি।
প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পর আয়োজকদের মধ্যে যিনি আমাকে সিনেমাটি বানাতে বলেছিলেন তাকে ফোন দিলাম আমার সিনেমাটির খবর জানতে।তিনি দুঃখ প্রকাশ করে জানালেন আমার মেইলটি সম্ভবত তাদের নজরে আসেনি। অনেকের ক্ষেত্রেই এমন হয়েছে। পরে অবশ্য অনুসন্ধান করে আমারসিনেমাটি আয়োজকদের চ্যানেলে মুক্তি দেয়।
কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য প্রশংসা পেয়েও সেই প্রতিযোগিতায় শামিল হতে পারেনি ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’। ভেবেছিলাম সিনেমাটি কিছু অর্জন করতে পারলে সামনেআরও বড় সময়সীমার সিনেমা বানাব। তা আর হলো না। কিন্তু এই বাভাসি পুরস্কার আবার আমাকে সিনেমা বানাতে উজ্জীবিত করল।
বুধবার সন্ধ্যায় পর্দা নামে ‘আন্তর্জাতিক বাভাসি চলচ্চিত্র উৎসব–২০২৩’-এর সপ্তম চলচ্চিত্র উৎসবের। সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানঅতিথি হিসেবে ছিলেন সংস্কৃতিজন শংকর সাঁওজাল ও চলচ্চিত্র পরিচালক জাকির হোসেন রাজু (জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত) বিশেষ অতিথি ছিলেন।রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক বাভাসি চলচ্চিত্র পুরষ্কার অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়।