০৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ রেলওয়ে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১
  • / ১৫২৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ রেলওয়ে। দুর্নীতি, অনিয়ম, সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও জবাবদিহিতার অভাবে সংস্থাটি এখনও চলছে হামাগুড়ি দিয়ে। সবচেয়ে নিরাপদ ও আরামদায়ক যানবাহন হলেও যাত্রী সেবার মান নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। তবে বর্তমান সরকার রেলওয়ের সংস্কার ও উন্নয়নে নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

সবচে কম খরচে আর আরামদায়ক যাত্রার নির্ভরশীল একটি নাম রেল। সারা বিশ্বেই ট্রেন যাত্রা সবচে গ্রহণযোগ্য যোগাযোগ মাধ্যম। ইউরোপ আমেরিকার রেলগুলো এতো অত্যাধুনিক, যা বিমানের সাথেই তুলনা চলে। শুধু ইউরোপ বা আমেরিকা নয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতেও রেল অনেকদিন ধরেই জনপ্রিয় বাহন। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থা, পুরোটাই উল্টো।

ইতিহাস বলছে, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর পূর্ব বাংলা তথা পূর্ব পাকিস্তান উত্তরাধিকার সুত্রে পায় ২,৬০৬.৫৯ কি.মি. রেল লাইন। যার ৫০০ কি.মি. ব্রডগেজ এবং ২১০০ কি.মি. মিটার গেজ লাইন ছিল। স্বাধীনতার পর নাম হয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। যা উত্তরাধিকার সূত্রে ২ হাজার ৮ শো ৫৮.৭৩ কি.মি. রেলপথ ও ৪৬৬টি স্টেশন পায় বাংলাদেশ।

এরপর নানান চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৯০ সালে যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অধীনে আসে। এরপরই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে থাকে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। সর্বশেষ ২০১১ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ভেঙ্গে নতুন রেলপথ মন্ত্রনালয় গঠন করেন। এরপর থেকে রেলের কর্মকাণ্ডে গতি ফেরাতে পূর্ব ও পশ্চিম দুই অঞ্চলে ভাগ করা হয়। প্রতি বছরই রেলের উন্নয়নে বাজেটে বাড়ে কয়েকগুণ।

তবে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় সরকার প্রধানের সদিচ্ছা বারে বারে হোচট খায়। উন্নয়ন পরিকল্পনা কতটুক সফল হয়েছে তাও এখন প্রশ্নবিদ্ধ। ট্রেনের যাত্রীসেবা মান নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ । বাংলাদেশ রেলওয়েকে সবচেয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে একটি গবেষণাধর্মী দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ণ এখন সময়ের দাবী।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ রেলওয়ে

আপডেট সময় : ০২:১১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ রেলওয়ে। দুর্নীতি, অনিয়ম, সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও জবাবদিহিতার অভাবে সংস্থাটি এখনও চলছে হামাগুড়ি দিয়ে। সবচেয়ে নিরাপদ ও আরামদায়ক যানবাহন হলেও যাত্রী সেবার মান নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। তবে বর্তমান সরকার রেলওয়ের সংস্কার ও উন্নয়নে নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

সবচে কম খরচে আর আরামদায়ক যাত্রার নির্ভরশীল একটি নাম রেল। সারা বিশ্বেই ট্রেন যাত্রা সবচে গ্রহণযোগ্য যোগাযোগ মাধ্যম। ইউরোপ আমেরিকার রেলগুলো এতো অত্যাধুনিক, যা বিমানের সাথেই তুলনা চলে। শুধু ইউরোপ বা আমেরিকা নয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতেও রেল অনেকদিন ধরেই জনপ্রিয় বাহন। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থা, পুরোটাই উল্টো।

ইতিহাস বলছে, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর পূর্ব বাংলা তথা পূর্ব পাকিস্তান উত্তরাধিকার সুত্রে পায় ২,৬০৬.৫৯ কি.মি. রেল লাইন। যার ৫০০ কি.মি. ব্রডগেজ এবং ২১০০ কি.মি. মিটার গেজ লাইন ছিল। স্বাধীনতার পর নাম হয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। যা উত্তরাধিকার সূত্রে ২ হাজার ৮ শো ৫৮.৭৩ কি.মি. রেলপথ ও ৪৬৬টি স্টেশন পায় বাংলাদেশ।

এরপর নানান চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৯০ সালে যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অধীনে আসে। এরপরই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে থাকে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। সর্বশেষ ২০১১ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ভেঙ্গে নতুন রেলপথ মন্ত্রনালয় গঠন করেন। এরপর থেকে রেলের কর্মকাণ্ডে গতি ফেরাতে পূর্ব ও পশ্চিম দুই অঞ্চলে ভাগ করা হয়। প্রতি বছরই রেলের উন্নয়নে বাজেটে বাড়ে কয়েকগুণ।

তবে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় সরকার প্রধানের সদিচ্ছা বারে বারে হোচট খায়। উন্নয়ন পরিকল্পনা কতটুক সফল হয়েছে তাও এখন প্রশ্নবিদ্ধ। ট্রেনের যাত্রীসেবা মান নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ । বাংলাদেশ রেলওয়েকে সবচেয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে একটি গবেষণাধর্মী দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ণ এখন সময়ের দাবী।