স্বাভাবিকতা ফিরলেও বছরের শেষে করোনার ওমিক্রন ধরন ফের আতংকের কারণ
- আপডেট সময় : ০৮:৩২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
করোনা মহামারির নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে ২০২১ সালও ছিলো নাকাল বিশ্ব। বছরের মাঝামাঝিতে বিস্তার কমে আসায় বিশ্বজুড়ে কিছুটা স্বাভাবিকতা ফিরলেও বছরের শেষ নাগাদ করোনার ওমিক্রন ধরন ফের আতংকের কারণ হয়ে উঠেছে। দেশে দেশে আবারো আরোপ হচ্ছে কড়া বিধিনিষেধ। মহামারী রোধে আবিষ্কার হয়েছে এর প্রতিষেধক। তবুও থেকে নেই মৃত্যু। বিশ্বময় অর্থনীতি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ঘটেছে অবনতি।
একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সকল প্রচেষ্টাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে লক্ষ প্রাণ কেড়ে নিচ্ছিলো করোনা নামক মহামারি। আপনজনকে হারানোর ব্যথায় চোখের জ্বলে ভেষে যাচ্ছিলো বিশ্ব্। চলেছিলো জমে-মানুষে টানাটানি। নিরলস প্ররিশ্রম চালিয়ে যাছিলো চিকিৎসক এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। অবশেষে বছরের শুরুর দিকে এর প্রতিষেধক আবিষ্কার করলে বছরের মাঝামাঝিতে কমে আসে এর মৃত্যুর সংখ্যা।
টিকা আবিষ্কারের পর থেকেই এই প্রতিষেধক পাওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালায় বাংলাদেশ সরকার। তবে তাতে প্রথমদিকে আশানুরুপ সফলতা পায়নি স্বাস্থ্য বিভাগ। ফলে একদিনে সর্বচ্চ ৩শ’রঅধিক মৃত্যুও দেখেছে বাংলেদেশ। পরে বাভিন্ন দেশর কিছু অনুদানের টিকাদিয়েই শুরু হয় প্রতিষেধক গ্রহস কর্মসূচী। এর পর চীন, ভারত, রাশিয়া, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব প্রভৃতি দেশের কাছে টিকা পাওয়ার জন্য দেন দরবার শুরু করে। সরকারের সে উদ্যোগ সফলও হয়।
দীর্ঘ সময় লকডাউন থাকায় সারা পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও পড়ে ঝুকির মুখে। দেড় বছর পর খুলে দেয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। কিন্তু ওমিক্রনের প্রভাবে আবারও নড়ে ছড়ে বসতে শুরু করেছে প্রশাসন।
কিন্তু বিধিবাম, বছরের শেষে এসে করোনা নামক অদৃশ্য এ মহামারী তার রুপ পরিবর্তন করে হানা দেয় নতুন রুপে। আরপা যুক্তরাজ্যে, ডেলটা সাউথ আফ্রিকায়, গামা ব্রজিলে এবং ডেলটা ভারতে হিট সামলাতে যখন হিমশিম খাছিচ্ছিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ঠিক তখন আবারও হামলা করে নতুন ধরন ওমিক্রন।
ওমিক্রনের প্রতিদিনই বিশ্বে সংক্রমণ এর সংখ্যা কয়েক লক্ষ ছড়াচ্ছে। আক্রমন ঠেকাতে ইতোমধ্যে পূর্ণবয়স্কদের বুস্টার টিকার ছাড়পত্র দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যা। সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বের বিভিন্ন শহর আলাদা আলাদা ভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের মতো নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ শুরু করেছে।
সাড়ে সাতশ কোটি মানুষের এই পৃথিবী হবে সকল ধরণের মহামারি মুক্ত। এমনটাই প্রত্যাশা সবার।