হাড় কাঁপানো শীতে সারাদেশে জনজীবন বিপর্যস্ত

- আপডেট সময় : ০২:৫৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫৬৭ বার পড়া হয়েছে
কয়েকদিনের হাড় কাঁপানো শীতে সারাদেশে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, সাতক্ষীরা, মৌলভীবাজার ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক আকারে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। শীতে রেহাই মিলছে না গবাদি পশুদেরও।
চলতি শীত মৌসূমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে আবারো পঞ্চগড়ে। সকালে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এদিকে ভোরে ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়ে গোটা এলাকা। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঝলমলে রোদ কিছুটা স্বস্তি দিলেও উত্তরের হিমেল বাতাসে দূর্ভোগের শেষ নেই নিম্ন আয়ের মানুষের।
টানা ১২ দিনের তীব্র শীত ও কনকনে ঠাণ্ডায় চরম দুর্ভোগে কুড়িগ্রামের ছিন্নমুল মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে খড় কুটো জ্বালিয়ে দিন পার করছেন তারা। শীত কষ্ট থেকে রেহাই মিলছে না গবাদি পশুদেরও। দিনের বেলা সামান্য সময়ের জন্য সুর্যের দেখা মিললেও বিকেল হতেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় সুর্য্য। জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র শীত আর হিমেল বাতাসে স্থবির জনজীবন। ঘন কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে ধানের বীজতলা। জেলার সদর হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লালমনিরহাটে জেকে বসেছে শীত। সকালে ঘণ কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে তাপমাত্রা নেমে আসে ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ছে।
সাতক্ষীরায় কনকনে শীতে বিপাকে সুন্দরবন উপকূলীয় জেলে বাওয়ালীরাসহ খেটে খাওয়া মানুষ। ঠাণ্ডা জনিত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর,সর্দি ও কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
মৌলভীবাজারে প্রচণ্ড শীতে কাহিল নিম্ন আয়ের মানুষ। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকে বেড়েছে ঠাণ্ডা জনিত রোগির সংখ্যা।
ময়মনসিংহে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহের কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন। হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় শীতের প্রকোপ অসহনীয় হয়ে উঠেছে।