হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ
- আপডেট সময় : ০২:২১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫৩৪ বার পড়া হয়েছে
হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সরকারের কাছে রাজনৈতিক নয় বরং জঙ্গী সংগঠন হিসেবে এর বিচারের দাবিও জানিয়েছেন দলের নেতারা। হেফাজতের সরকার বিরোধী কর্মকান্ডের পিছনে বিএনপি জামায়াত জোট ও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে দায়ী করেন তারা। পাশাপাশি, ধর্মকে আশ্রয় করে ভবিষ্যতে আর কোন সংগঠন যেন অস্থিতীশীল পরিস্থিতি তৈরী করতে না পারে সে বিষয়ে সরকারকে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
২০১৩ ‘র ৫ মে, মতিঝিল-গুলিস্তান এলাকায় হেফাজতের তান্ডব কিছুটা টালমাটাল হয়েছিল দেশ। শক্ত হাতে রাশ টেনেছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
এরপরও মাঝে মাঝেই নিজেদের অস্তীত্ব জানান দিয়েছে ধর্মাশ্রয়ী এই দলটি। ২০১৭ ‘র এপ্রিলে, সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত ভাস্কর্য সরানোর বিরোধিতা করে রাজনীতির মাঠ গরম করার চেষ্টা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসে আবারো শান্ত হয় তারা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষ্কর্য ভেঙ্গে, গেল বছরের শেষে আবারো আলোচনায় এই সংগঠন। কেবল কুষ্টিয়াতেই নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাষ্কর্য ভাঙ্গা এমনকি ভাষ্কর্য স্থাপনের বিরোধীতা করে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টাও সুকৌশলে দমিয়ে দেয় সরকার।
কিন্তু দেশ যখন স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছে , তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশে আসা নিয়ে আবারো আন্দোলনের নামে নাশকতা করে হেফাজত। আর নতুন সহিংসতার প্রেক্ষাপটে চাপে পড়ে হেফাজত। গ্রেপ্তার করা হয় আলোচিত ব্যক্তি সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ অধিকাংশ শীর্ষনেতাকে।
কোন সংগঠন ধর্ম ব্যবহার করে অস্থিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে না। তাই, অসাম্প্রদায়িক ভাবধারার আওয়ামী লীগ মনে করে হেফাজতের রাজনীতি করার অধিকার নেই।
ঘোষণা দিয়ে সারাদেশে হেফাজতের সংঘবদ্ধ নাশকতা ও টানা রাষ্ট্রবিরোধী হুমকির পেছনে থাকা বিএনপি জামায়াত জোটকেও হুঁশিয়ার করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
শান্তির স্বার্থে সংঘাত এড়িয়ে তৃণমুলের নেতাকর্মীদেরকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগের এই দুই শীর্ষ নেতা।