২৪ ধরনের মাদক ধ্বংস করছে আগামী প্রজন্মকে
- আপডেট সময় : ০৮:৪৩:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১
- / ১৫৪৬ বার পড়া হয়েছে
নেশার ভয়াল গ্রাসে দেশের যুব সমাজ। ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, ক্রিস্টাল ম্যাথসহ ২৪ ধরনের মাদক ধ্বংস করছে আগামীর বাংলাদেশকে। মাদকের গডফাদারদের ধরতে না পারায় বিপুল লাভের এই অবৈধ ব্যবসা কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। দিন দিন পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে আসক্ত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশপাশি সামাজিক সচেতনতা গড়ার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
আফগানিস্তানে চাষ হয় আফিমের, ফেনসিডিল আসে ভারত থেকে, স্থানীয়ভাবে উৎপন্ন হয় গাজা, ইয়াবার উৎপত্তি মিয়ানমারে, ক্রিস্টাল ম্যাথ বা আইচ ও এলএসডি আসে ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশ থেকে।
বিশ্বে এ ধরনের অসংখ্য মাদকের সঙ্গে পরিচিত দেশের যুব সমাজ। দেশের বাজারে ২৪ ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্যের উপস্থিতি পেয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে হাল্কা মাদকের ব্যবহার অতি প্রাচীনকাল থেকে।
ব্রিটিশ শাসনামলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাণিজ্যিক স্বার্থে ১৮৫৭ সালে ভারতবর্ষে প্রথম আফিম চাষ ও ব্যবসা শুরু করে। মদ ও গাঁজা ছাড়াও আফিম ও কোকেন দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের মাদকের প্রসার ঘটলে ১৯৩০ সনে The Dangerous Drugs Act প্রণয়ন করা হয়।
এ পর্যন্ত ১৭ বার মাদক আইনে পরিবর্তন এনে সর্বশেষ ২০১৮ সালে সময়োপযোগী করে এই আইন তৈরী করা হয়। মাদক আইনে চুম্বক অংশ তুলে ধরেছেন এই বিশেষজ্ঞ।
বর্তমানে দেশে ক্রিষ্টাল ম্যাথ নামক নতুন মাকদের উপস্থিতি অভিভাবকেদের মনে উদ্বেগ তৈরি করছে। ভয়াবহ এ মাদক প্রতিরোধে আইনের সংস্কারের পাশপাশি বাস্তবায়নের প্রতি জোর দেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, মাদক নির্মূলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে দেশের সবখানে মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি রাজধানী ঢাকার চিত্রও ভয়াবহ।