০৬:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

অনাস্থা ভোটে প্রথম হারলেন পাকিস্তানের কোন প্রধানমন্ত্রী

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:১০:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২
  • / ১৫৬৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাকিস্তানের ইতিহাসে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম লেখালেন ইমরান খান। শনিবার দিনভর নাটকের পর মধ্যরাতে অনাস্থা ভোটে হেরে যান তিনি। এর মধ্য দিয়ে মেয়াদ পূর্তির আগেই শেষ হলো তার প্রধানমন্ত্রিত্ব। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ১৭৪টি ভোট পড়লে পতন ঘটে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়কের। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য আগামীকাল বসছে অধিবেশন।

পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকে কোনও প্রধানমন্ত্রীই নিজেদের পাঁচ বছরের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। কখনও হত্যার শিকার হয়ে, আবার কখনও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ক্ষমতা ছাড়তে হয়। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী ইমরানকেও বিদায় নিতে হলো ৩ বছর ৭ মাস ২৩ দিনের মাথায়।ইতিহাসে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম লেখালেন তিনি। শনিবার মধ্যরাতে অনাস্থা ভোটে হেরে যান সাবেক এই ক্রিকেটার।

২০১৮ সালের ২৫ জুলাই সাধারণ নির্বাচনে ১৪৯ আসনে জয় পেয়ে ক্ষমতার মসনদে বসেন পিটিআইয়ের নেতা ইমরান। তার বিরুদ্ধে আর্থিক দুরবস্থা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে মার্চ থেকে টালমাটাল তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। যদিও ইমরান সমর্থিতরা বলছে বৈশ্বিক রাজনীতির বলি তারা। এরই মধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যম খবর দিচ্ছে, ইমরান খান ইসলামাবাদ ছেড়ে গেছেন।

বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবে ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ১৭৪টি। প্রস্তাব পাসের জন্য দরকার ছিল ১৭২ ভোট। অনাস্থা ভোটের অধিবেশনটি পরিচালনা করেন সাবেক স্পিকার আয়াজ সাদিক।

মধ্যরাতে ভোটাভুটির পর জাতীয় পরিষদে বক্তব্যে বিরোধী নেতা শাহবাজ শরিফ বলছেন নতুন সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতিতে জড়াবে না। যদিও পাক-ইতিহাস বলছে ভিন্ন কথা।

নানান নাটকিয়তায় ইমরান খান বিদায় নিলেও পাকিস্তানের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অপেক্ষা করতে হবে সে দেশের জনগণকে।

রোববার ভোরে ভোটাভুটির পরই সর্বাত্মক আন্দোলনের ডাক দিয়েছে পিটিআই। পার্লামেন্টের সামনেই অবস্থান ধর্মঘটে বসেন দলের অনেক নেতাকর্মী।

এছাড়া, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল করবে পিটিআই।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

অনাস্থা ভোটে প্রথম হারলেন পাকিস্তানের কোন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:১০:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২

পাকিস্তানের ইতিহাসে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম লেখালেন ইমরান খান। শনিবার দিনভর নাটকের পর মধ্যরাতে অনাস্থা ভোটে হেরে যান তিনি। এর মধ্য দিয়ে মেয়াদ পূর্তির আগেই শেষ হলো তার প্রধানমন্ত্রিত্ব। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ১৭৪টি ভোট পড়লে পতন ঘটে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়কের। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য আগামীকাল বসছে অধিবেশন।

পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকে কোনও প্রধানমন্ত্রীই নিজেদের পাঁচ বছরের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। কখনও হত্যার শিকার হয়ে, আবার কখনও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ক্ষমতা ছাড়তে হয়। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী ইমরানকেও বিদায় নিতে হলো ৩ বছর ৭ মাস ২৩ দিনের মাথায়।ইতিহাসে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম লেখালেন তিনি। শনিবার মধ্যরাতে অনাস্থা ভোটে হেরে যান সাবেক এই ক্রিকেটার।

২০১৮ সালের ২৫ জুলাই সাধারণ নির্বাচনে ১৪৯ আসনে জয় পেয়ে ক্ষমতার মসনদে বসেন পিটিআইয়ের নেতা ইমরান। তার বিরুদ্ধে আর্থিক দুরবস্থা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে মার্চ থেকে টালমাটাল তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। যদিও ইমরান সমর্থিতরা বলছে বৈশ্বিক রাজনীতির বলি তারা। এরই মধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যম খবর দিচ্ছে, ইমরান খান ইসলামাবাদ ছেড়ে গেছেন।

বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবে ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ১৭৪টি। প্রস্তাব পাসের জন্য দরকার ছিল ১৭২ ভোট। অনাস্থা ভোটের অধিবেশনটি পরিচালনা করেন সাবেক স্পিকার আয়াজ সাদিক।

মধ্যরাতে ভোটাভুটির পর জাতীয় পরিষদে বক্তব্যে বিরোধী নেতা শাহবাজ শরিফ বলছেন নতুন সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতিতে জড়াবে না। যদিও পাক-ইতিহাস বলছে ভিন্ন কথা।

নানান নাটকিয়তায় ইমরান খান বিদায় নিলেও পাকিস্তানের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অপেক্ষা করতে হবে সে দেশের জনগণকে।

রোববার ভোরে ভোটাভুটির পরই সর্বাত্মক আন্দোলনের ডাক দিয়েছে পিটিআই। পার্লামেন্টের সামনেই অবস্থান ধর্মঘটে বসেন দলের অনেক নেতাকর্মী।

এছাড়া, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল করবে পিটিআই।