অনিশ্চয়তায় পড়েছে চট্টগ্রামের কর্ণফূলী আউটার রিংরোড প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ
- আপডেট সময় : ১১:০৯:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৯
- / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতা নিরসনের পর ফের বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি আর বন্দরের আপত্তির মুখে অনিশ্চয়তায় পড়েছে চট্টগ্রামের কর্ণফূলী আউটার রিংরোড প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। সিডিএ বলছে, দ্রুত সমস্যার সমাধান করে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। আর নগরবিদরা বলছেন, বন্দরনগরীর যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি পর্যটন শিল্প বিকাশের সম্ভাবণাকে সামনে নিয়ে নেয়া প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বার বার বাধা আসা দু:খজনক।
কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে কালুরঘাট সেতু থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত দীর্ঘ ৮ কিলোমিটার লম্বা এই চার লেইন সড়কের নির্মাণ কাজ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- সিডিএ। সমুদ্রুপৃষ্ট থেকে ২৪ ফুট উঁচু আর ৮০ ফুট প্রশস্ত সড়কটি যান চলাচলের পাশাপাশি ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও জলাবদ্ধতার হাত থেকে শহরকে রক্ষা করবে বাধ হিসেবে।
প্রকল্পটির ২৩ শতাংশ বাস্তবায়নের পর হঠাৎ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই এলাকায় তাদের জেটি নির্মানের পরিকল্পনা আছে। আপত্তি জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিও। এতেই অনিশ্চয়তায় পড়েছে পুরো প্রকল্পটি। তবে সংকট সমাধানে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে সিডিএ।
১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারের মেগা এই প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে বন্দরনগরীর যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের বিকাশ হবে বলে জানান সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী। প্রকল্প এলাকায় ৮ টি খালের ওপর হবে স্যুইচ গেইট, থাকবে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প। এতে বর্ষা মৌসুমে যেমন জোয়ারের পানি শহরে ঢুকতে পারবে না; অন্যদিকে বৃষ্টি হলে পাম্পের মাধ্যমে পানি বের করে দেয়া যাবে। এক প্রকল্পে একাধিক সুবিধা পাবে নগরবাসী। তাই নগরবিদরা বলছেন, উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ এগিয়ে নেওয়া জরুরী।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কালুরঘাট এলাকার নদীপাড়ের বিস্তীর্ণ পরিত্যক্ত এলাকা যুক্ত হবে নগরায়নের সঙ্গে সেই সঙ্গে বোয়ালখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে শহরের যোগযোগ ব্যবস্থায় ঘটবে আমুল পরিবর্তন।