অন্ধ্রপ্রদেশে দুইটি যাত্রীবাহী ট্রেনে ধাক্কা, মৃত ১৩
- আপডেট সময় : ১২:২৪:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
- / ১৭৩৬ বার পড়া হয়েছে
একটি যাত্রীবাহী ট্রেন বিখাশপত্তনম থেকে পালাসা যাচ্ছিল। সেই ট্রেনটি সিগন্যাল না পেয়ে আলামান্ডা ও কন্টকপাল্লা স্টেশনের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময় ভাইজ্যাগ-রায়গড় এক্সপ্রেস পিছন থেকে এসে তাকে ধাক্কা মারে। তিনটি কামরা লাইনচ্যূত হয়। এখনো পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৪০ জন। চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনাস্থলের ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে, কামরাগুলি মাটিতে পড়ে আছে। প্রচুর মানুষ সেখানে ভিড় করেছেন। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, রাতের মধ্যেই অন্য অক্ষত কামরাগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের আড়াই লাখ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেয়া হবে।
কী করে এই দুর্ঘটনা?
একই লাইনে দুইটি ট্রেন কী করে ঢুকে পড়লো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। টিভি৯ জানাচ্ছে, পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পর তাদের ধারণা, মানুষের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। একটি ট্রেনকে ভুল সিগন্যাল দেখানো হয়েছিল। আর সূত্রকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভি বলেছে, লোকো-পাইলটের চালক সিগন্যাল নজর করেননি। তাই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এই দুর্ঘটনার পর ২২টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ১৮টি ট্রেন ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দুর্ঘটনার পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। তিনি নিহতদের পরিবারের কাছে শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি আরো দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথাও জানিয়েছেন। আহতরা পাবেন আরো ৫০ হাজার টাকা।
দুর্ঘটনার পর রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ফোনে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডির সঙ্গে কথা বলেন। মুখ্যমনন্ত্রী দুর্ঘটনাস্থলে মানুষকে সব ধরনের সাহায্য করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
দিল্লিতে রেল মন্ত্রণালয়ে একটি ওয়ার রুম খোলা হয়েছে। ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে হেলপলাইন নম্বরের কথা জানিয়েছে। ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার সৌরভ প্রসাদ গতরাতেই ঘটনাস্থলে যান। তিনি তখন জানিয়েছিলেন, সব কামরা ভালো করে দেখেই মৃতের সংখ্যা জানানো সম্ভব হবে। প্রথম কাজ হলো ইঞ্জিন থেকে কামরাকে আলাদা করা।
ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ