অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনে তীব্র ভাঙনের মুখে ঈশ্বরদীর সাড়া ইউনিয়ন
- আপডেট সময় : ০২:২৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩
- / ১৫৭৩ বার পড়া হয়েছে
অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনে তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে ঈশ্বরদীর সাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা। লালপুর উপজেলার দিয়ার বাহাদুরপুর মৌজায় সরকারীভাবে বালুমহাল ইজারা দিলেও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে ঈশ্বরদী উপজেলার সাড়া ইউনিয়ন ও ভেড়ামারার আরাজিসাড়ায়। নদী ভাঙন ও সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে বিপাকে নদী পাড়ের হাজারও কৃষক। ভোগান্তির পেছনে নৌ-পুলিশের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন এলাকাবাসী।
গেলো পহেলা বৈশাখ ১ বছর মেয়াদে লালপুর উপজেলার দিয়ার বাহাদুরপুর মৌজায় বালুমহল ইজারা পায় মেসার্স রাসেল এন্টারপ্রাইজ। প্রথম থেকেই নীতিমালা ভঙ্গ করে বালু তোলা হচ্ছে ঈশ্বরদী সাড়া ইউনিয়ন ও ভেড়ামারার অরাজিসাড়ায়। ফলে চরের শত শত বিঘা ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
ফলে একদিকে পদ্মা নদীতে ভাঙ্গন অপরদিকে বালু মহলকে সুরক্ষা দিতে গড়ে তোলা হয়েছে সন্ত্রাসী বাহিনী। ফসলি জমির নিকটে গিয়ে চলছে বালু উত্তোলন। এদিকে ফসলি জমি ভেঙে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় কাটছে কৃষকদের জীবন।
অবৈধ বালু উত্তোলন ও সুরক্ষার জন্য বানানো হয়েছে সন্ত্রাসী বাহিনী। তাদের নির্যাতনে অতিষ্ট নদীপাড়ের মানুষ। মাঝে মধ্যেই গরু মহিষ আটকে রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে
এদিকে লালপুরের চর থেকে দিন রাত চলছে বালু উত্তোলন। রাস্তাঘাট নষ্ট করে শতাধিক গাড়ি দিয়ে চরের বালু নেয়া হচ্ছে। নিচ্ছে ইজারার নাম করে। দেখার দায়িত্ব নৌ পুলিশের থাকলেও নজরদারি নেই তাদের।
এদিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ইজারাকৃত বালুমহলের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করেনি রাসেল এন্টারপ্রাইজ। নীতিমালা ভঙ্গ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার হুঁশিয়ারী জেলা প্রশাসকের।
জেলা প্রশাসনের সহায়তায় হাইডেগ্রাফি সার্ভে না করেই চলছে অপরিকল্পিত বালু তোলার কাজ। নদীর গতিপথ পরিবর্তনসহ বাড়তে পারে মারাত্মক নদী ভাঙন আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।