০৪:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

তদবিরে তবারকে চলে বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্ট, জরিমানার টাকা জমা হয়না সরকারী তহবিলে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:০৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৫৭৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অবৈধ যানবাহন ধরার জন্য বিআরটিএ নিয়মিত পরিচালনা করছে মোবাইল কোর্ট। নিজস্ব ১৩ জন ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যে চট্টগ্রামে ৩ জন এবং ঢাকায় ১০ জন দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে মোবাইল কোর্ট। মেয়াদোত্তীর্ণ বা ফিটনেসবিহীন কিংবা লাইসেন্স বিহীন গাড়ি ধরে গাড়ী জব্দ অথবা জরিমানা করা মোবাইল কোর্টের কাজ । আর আদায়কৃত এই জরিমানার টাকা জমা দেয়ার বিধান সরকারি তহবিলে। কিন্তু অভিনব পন্থায় জরিমানার বেশিরভাগ অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে ।

মোবাইল কোর্টে জরিমানার টাকা কমে তদবিরের তবারকে। এই তবারক মনমতো না হলে গাড়ি ও কাগজপত্র লক করে পরিবহন মালিককে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। প্রতিটি কোর্টে ম্যাজিস্ট্রেটের অবর্তমানে সকল ক্ষমতার অধিকারী থাকেন পেশকার। বিআরটিএ চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাতের অপেক্ষায় এসএ টিভি’র টিম। টাকা দিয়েও প্রতিকার না পেয়ে বিকাশ পরিবহনের একজন প্রতিনিধি বিচার দিতে এসেছেন চেয়ারম্যানের কাছে।

এসএ টিভির অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে বিআরটিএ’র পদে পদে টাকা নেয়ার সব তথ্য। ম্যাজিস্ট্রেট রাস্তায় জরিমানা করে ধরিয়ে দেন টোকেন। অফিসে গিয়ে পেশকারের সাথে দফারফা করে দিতে হয় জরিমানা। জরিমানার টাকা জমা দিয়ে কেউ পায় অর্ধেক টাকার রসিদ, কেউবা পায় না কিছুই। একটি ঘটনায় দেখা যায় মোবাইল কোর্ট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা কমিয়ে ১৫ হাজার টাকায় রফা করেন এক পরিবহন প্রতিনিধি। ড্রাইভার টাকা জমা দেন পেশকার সজীব হোসেনের কাছে। টাকা নিয়ে দরদামের অপরাধে ২০২১ সালের ১৮ জুন পর্যন্ত গাড়িটি লক করে দেয় প্রভাবশালী ওই পেশকার। টাকা দেয়ার পরও রশিদ না পেয়ে কারণ জানতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আসেন এই পরিবহন প্রতিনিধি।

চেয়ারম্যানের পিএস অভিযোগটি শুনে বিষয়টি ফোনে পেশকার সজীবের কাছে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি এড়িয়ে যান । সবশেষে দু’জনকে মুখোমুখি করা হলে সজীব নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে মরিয়া হয়ে ওঠেন। প্রমানে ব্যর্থ হবার পর শেষে ক্ষমা চান চালকের কাছে।

অভিযোগে জানা যায়, মোবাইল কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট-এর নিয়োজিত জুলুমবাজ পেশকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গাড়ীর মালিক ও চালকরা। মানুষের ভরসার জায়গা- কোর্টে এ ধরনের ঘটনাকে দুঃখজনক আখ্যায়িত করে বিআরটিএ’র রোড সেফটি পরিচালক এসএ টিভিকে বলেন, সঠিক অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্টের এমন অনিয়মে বিপর্যস্ত পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও সাধারণ সেবা প্রত্যাশীরা। ভূক্তভোগিরা প্রতিষ্ঠানটির ইমেজ ফেরাতে শুদ্ধি অভিযানের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে ।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

তদবিরে তবারকে চলে বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্ট, জরিমানার টাকা জমা হয়না সরকারী তহবিলে

আপডেট সময় : ০২:০৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০

অবৈধ যানবাহন ধরার জন্য বিআরটিএ নিয়মিত পরিচালনা করছে মোবাইল কোর্ট। নিজস্ব ১৩ জন ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যে চট্টগ্রামে ৩ জন এবং ঢাকায় ১০ জন দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে মোবাইল কোর্ট। মেয়াদোত্তীর্ণ বা ফিটনেসবিহীন কিংবা লাইসেন্স বিহীন গাড়ি ধরে গাড়ী জব্দ অথবা জরিমানা করা মোবাইল কোর্টের কাজ । আর আদায়কৃত এই জরিমানার টাকা জমা দেয়ার বিধান সরকারি তহবিলে। কিন্তু অভিনব পন্থায় জরিমানার বেশিরভাগ অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে ।

মোবাইল কোর্টে জরিমানার টাকা কমে তদবিরের তবারকে। এই তবারক মনমতো না হলে গাড়ি ও কাগজপত্র লক করে পরিবহন মালিককে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। প্রতিটি কোর্টে ম্যাজিস্ট্রেটের অবর্তমানে সকল ক্ষমতার অধিকারী থাকেন পেশকার। বিআরটিএ চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাতের অপেক্ষায় এসএ টিভি’র টিম। টাকা দিয়েও প্রতিকার না পেয়ে বিকাশ পরিবহনের একজন প্রতিনিধি বিচার দিতে এসেছেন চেয়ারম্যানের কাছে।

এসএ টিভির অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে বিআরটিএ’র পদে পদে টাকা নেয়ার সব তথ্য। ম্যাজিস্ট্রেট রাস্তায় জরিমানা করে ধরিয়ে দেন টোকেন। অফিসে গিয়ে পেশকারের সাথে দফারফা করে দিতে হয় জরিমানা। জরিমানার টাকা জমা দিয়ে কেউ পায় অর্ধেক টাকার রসিদ, কেউবা পায় না কিছুই। একটি ঘটনায় দেখা যায় মোবাইল কোর্ট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা কমিয়ে ১৫ হাজার টাকায় রফা করেন এক পরিবহন প্রতিনিধি। ড্রাইভার টাকা জমা দেন পেশকার সজীব হোসেনের কাছে। টাকা নিয়ে দরদামের অপরাধে ২০২১ সালের ১৮ জুন পর্যন্ত গাড়িটি লক করে দেয় প্রভাবশালী ওই পেশকার। টাকা দেয়ার পরও রশিদ না পেয়ে কারণ জানতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আসেন এই পরিবহন প্রতিনিধি।

চেয়ারম্যানের পিএস অভিযোগটি শুনে বিষয়টি ফোনে পেশকার সজীবের কাছে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি এড়িয়ে যান । সবশেষে দু’জনকে মুখোমুখি করা হলে সজীব নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে মরিয়া হয়ে ওঠেন। প্রমানে ব্যর্থ হবার পর শেষে ক্ষমা চান চালকের কাছে।

অভিযোগে জানা যায়, মোবাইল কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট-এর নিয়োজিত জুলুমবাজ পেশকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গাড়ীর মালিক ও চালকরা। মানুষের ভরসার জায়গা- কোর্টে এ ধরনের ঘটনাকে দুঃখজনক আখ্যায়িত করে বিআরটিএ’র রোড সেফটি পরিচালক এসএ টিভিকে বলেন, সঠিক অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্টের এমন অনিয়মে বিপর্যস্ত পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও সাধারণ সেবা প্রত্যাশীরা। ভূক্তভোগিরা প্রতিষ্ঠানটির ইমেজ ফেরাতে শুদ্ধি অভিযানের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে ।