অমঙ্গল-অসুন্দরের বিরুদ্ধে আলো আর শুভশক্তির কামনায় মঙ্গল শোভাযাত্রা
- আপডেট সময় : ০৭:৪১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৭০৪ বার পড়া হয়েছে
কুসংস্কার দূরে ঠেলে আলোক উজ্জ্বল জীবনের দীপ্ত শপথে বিমূর্ত হলো পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে রবি ঠাকুরের কবিতা-গানের পংক্তিতে শান্তির বারির প্রত্যাশা করা হয়। রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় বাঁশি, ভুভুজেলা নিষিদ্ধের পাশাপাশি ঢোলের শব্দও সীমিত রাখা হয়।
অমঙ্গল-অসুন্দরের বিরুদ্ধে আলো আর শুভশক্তির কামনায় প্রতিবাদের নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা। সকাল নয়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ফটক থেকে শুরু হয় এবছরের মঙ্গল শোভাযাত্রা। শাহাবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি হয়ে আবার চারুকলায় গিয়ে শেষ হয় উৎসবমুখর এ যাত্রা।
এবার এ মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে: ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি’। যার মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি কামনা করা হয়। শোভাযাত্রা স্থান পেয়েছে টেপা পুতুল, ময়ূর, নীল গাই, হাতি ও বাঘ। মুখোশ, পেঁচা, নকশি পাখিসহ বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতিও প্রদর্শন করা হয়।
আজকের এই দিনে এমন আয়োজনে প্রাণের স্পন্দন খুঁজে পায় বাঙ্গালী। বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও এসেছে পহেলা বৈশাখের এই উৎসবে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে এসেছেন নানা পেশার মানুষ।
নতুন বছর নিয়ে প্রত্যাশার কথা জানালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি। শুধু বাঙালি নয়, মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিদেশীদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। ১৯৮৯ সালে চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা।২০১৬ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করে এ শোভাযাত্রা।