অর্থ জালিয়াতি ও প্রতারণার বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে ভুক্তভোগীরা
- আপডেট সময় : ০৩:০২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০
- / ১৬০৫ বার পড়া হয়েছে
রিজেন্টের মো. শাহেদ ও মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে অর্থ জালিয়াতি ও প্রতারণার বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে ভুক্তভোগীরা। ক্ষমতাসীন দলের পরিচয় ভাঙিয়ে পাওনাদারদের উল্টো হয়রানি করতে তারা। গ্রেফতারের পর এ পর্যন্ত ১শ ৬০ জনের অভিযোগে সাড়ে ১২ কোটি টাকার অর্থ-জালিয়াতির হিসেব পাওয়া গেছে। শাহেদের থেকে টাকা প্রাপ্তিতে শঙ্কার কথাও জানান ভূক্তভোগীরা। অভিযোগ খতিয়ে পাওনাদারদের অর্থ প্রাপ্তিতে সম্পূর্ণ আইনী সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেবের মিডিয়া লিগ্যাল উইংয়ের পরিচালক লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ।
রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় বসিন্দা সজল কনষ্ট্রাকশন কোম্পানির মালিক সফিকুর রহমান। তিনি জানান, ২০১৯ সালে কক্সবাজার শাহপরীর দ্বীপে আশ্রয়ন প্রকল্পে শ্রমিক সরবরাহে সাব কন্ট্রাক্ট নেয় রিজেন্ট কেসিএস কোম্পানি । সেখানে জনবল সরবরাহ করে ৫ লাখ টাকা বিল বাকী হয় সফিকুরের। বকেয়া আনতে উত্তরা রিজেন্টের প্রাধান কার্যালয়ে গেলে অস্ত্র ঠেকিয়ে খালি স্ট্যাম্পে তার স্বাক্ষর নেয়া হয় । শুধু তাই নয়, উল্টো ১০ কোটি টাকা দাবি করে সাহেদ।
এছাড়া রাজধানীর শনিরআখড়ার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের কাছ সাহেদের সহযোগী মাসুদ পারভেজ অবৈধ পথে মানব পাচারের কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। ভূয়া ওয়েবসাইট তৈরী করে বিদেশগামীদের আস্থা অর্জন করে এ সব অর্থ নেয়া হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী।
রিজেন্টের এডমিন অফিসার হিসেবে চাকরি করতেন আশুলিয়ার এ্যাডভোকেট নাসরিন আক্তার।৬ মাস পর তার নির্যাতনের শিকার হয়ে চাকরি ছেড়ে দেন তিনি।
রেন্ট এ কারের ব্যবসা সাভার পৌর এলাকার নাসির উদ্দিনের। গাড়ী ভাড়া নিয়ে টাকা দিতো না সাহেদ ।
এসব অভিযোগ খতিয়ে পাওনাদারদের অর্থ প্রাপ্তিতে সম্পূর্ণ আইনী সহায়তা দেয়ার কথা জানান রেবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ।
সাহেদের মতো আর কেউ এমন প্রতারনা করছে কি তাও খতিয়ে দেখছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী।