০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আওয়ামী প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে আলোর মুখ দেখেনি নোয়াখালী খাল

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১১:০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীতে বন্যার পানি রূপ নিচ্ছে স্থায়ী জলাবদ্ধতায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, জেলার গুরুত্বপুর্ণ খালগুলো দখল-দুষণে সঙ্কুচিত হওয়ায় পানি আটকে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। চরবাসীর দুর্ভোগের কথা ভেবে গুরুত্বপুর্ণ বাঁধও কাটতে পারছে না প্রশাসন। এসএটিভি’র অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৯ সালে নোয়াখালী খাল খনন করলেও দুর্নীতি আর প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্যে এটি মেঘনা নদী মুখ পর্যন্ত যেতে পারেনি। তখন নোয়াখালী খাল বাদ দিয়ে কবিরহাটের আলগী খাল খনন করা হয়। তাও এখন তা বাঁধ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।

ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে আকস্মিক বন্যায় ডুবেছিল পুরো দক্ষিণাঞ্চল-পূর্বাঞ্চল । অবর্ননীয় দুর্ভোগে পড়ে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লহ্মীপুরের বানভাসি মানুষ।

তবে কুমিল্লা, ফেনীর বন্যার পানি উন্নতি হলেও তেমন উন্নতি হয়নি, নোয়াখালী শহরসহ জেলার নিম্নাঞ্চলের। এখনও হাটু পানি নোয়াখালী শহরে।

এমন জলাবদ্ধতার কারণ -আলোচিত কবির হাট উপজেলার আলগী খালের ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের রিকশাওয়ালার দোকানের বাধ। বাধটি কাটার উদ্যোগ নেয়া হলেও স্থানীয়দের বাধার মুখে সম্ভব হয়নি। উপায় না পেয়ে বিভিন্ন রাস্তা কেটে দেয় প্রশাসন। স্থানীয়দের বাধটি কাটলে বহুমানুষ ভিটেমাটি হারাবে।

জহিরুল নামের লোকটির কথার সুত্র ধরে এসএটিভি হাজির মুল নোয়াখালী খালের জায়গায়। কবিরহাট থেকে কোম্পানীগঞ্জ চরকলমি পুরো এলাকায় এখনও দখলের রাজত্ব। একটি জায়গায় সরু খাল থাকলেও বাধ দিয়ে আটকিয়ে দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানরা নোয়াখালী খালের ৯ কিলোমিটার খাসজমি বন্দোবস্ত নিয়ে তা দখল করে। যার কারণে নোয়াখালী খাল আর মেঘনা পর্যন্ত পৌছাতে পারেনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মুল খালের অগ্রভাগ দখল করে প্রজেক্ট বানিয়েছে ধানসিঁড়ি উইনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামাল খান ওরফে কামাল কোম্পানী। মেঘনা নদীর মুখে বাঁধ দিয়ে পুরো এলাকাকে চর বানিয়ে দখল করেছে ভূমি দস্যুরা।

শুধু তাই নয়, নোয়াখালী সুবর্ণচরে প্রায় ৭ শত একর খাসজমি দখলের অভিযোগ কবিরহাটের ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল কোম্পানি ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে।

মুলত বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাশালীদের অবৈধ দখলের কারণে নোয়াখালী খাল আলোর মুখ দেখেনি বলে জানান এই জলবায়ু বিশেষজ্ঞ।

 

জেলা প্রসাশক জানান, নোয়াখালীর মুল খাল পুন:খনন ছাড়া বিকল্প নেই।

 

এদিকে, ভুলুয়া নদীসহ লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার সকল খাল দখলমুক্ত করাসহ মানবসৃষ্ট বন্যা রোধ করতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আওয়ামী প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে আলোর মুখ দেখেনি নোয়াখালী খাল

আপডেট সময় : ১১:০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নোয়াখালীতে বন্যার পানি রূপ নিচ্ছে স্থায়ী জলাবদ্ধতায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, জেলার গুরুত্বপুর্ণ খালগুলো দখল-দুষণে সঙ্কুচিত হওয়ায় পানি আটকে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। চরবাসীর দুর্ভোগের কথা ভেবে গুরুত্বপুর্ণ বাঁধও কাটতে পারছে না প্রশাসন। এসএটিভি’র অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৯ সালে নোয়াখালী খাল খনন করলেও দুর্নীতি আর প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্যে এটি মেঘনা নদী মুখ পর্যন্ত যেতে পারেনি। তখন নোয়াখালী খাল বাদ দিয়ে কবিরহাটের আলগী খাল খনন করা হয়। তাও এখন তা বাঁধ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।

ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে আকস্মিক বন্যায় ডুবেছিল পুরো দক্ষিণাঞ্চল-পূর্বাঞ্চল । অবর্ননীয় দুর্ভোগে পড়ে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লহ্মীপুরের বানভাসি মানুষ।

তবে কুমিল্লা, ফেনীর বন্যার পানি উন্নতি হলেও তেমন উন্নতি হয়নি, নোয়াখালী শহরসহ জেলার নিম্নাঞ্চলের। এখনও হাটু পানি নোয়াখালী শহরে।

এমন জলাবদ্ধতার কারণ -আলোচিত কবির হাট উপজেলার আলগী খালের ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের রিকশাওয়ালার দোকানের বাধ। বাধটি কাটার উদ্যোগ নেয়া হলেও স্থানীয়দের বাধার মুখে সম্ভব হয়নি। উপায় না পেয়ে বিভিন্ন রাস্তা কেটে দেয় প্রশাসন। স্থানীয়দের বাধটি কাটলে বহুমানুষ ভিটেমাটি হারাবে।

জহিরুল নামের লোকটির কথার সুত্র ধরে এসএটিভি হাজির মুল নোয়াখালী খালের জায়গায়। কবিরহাট থেকে কোম্পানীগঞ্জ চরকলমি পুরো এলাকায় এখনও দখলের রাজত্ব। একটি জায়গায় সরু খাল থাকলেও বাধ দিয়ে আটকিয়ে দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানরা নোয়াখালী খালের ৯ কিলোমিটার খাসজমি বন্দোবস্ত নিয়ে তা দখল করে। যার কারণে নোয়াখালী খাল আর মেঘনা পর্যন্ত পৌছাতে পারেনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মুল খালের অগ্রভাগ দখল করে প্রজেক্ট বানিয়েছে ধানসিঁড়ি উইনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামাল খান ওরফে কামাল কোম্পানী। মেঘনা নদীর মুখে বাঁধ দিয়ে পুরো এলাকাকে চর বানিয়ে দখল করেছে ভূমি দস্যুরা।

শুধু তাই নয়, নোয়াখালী সুবর্ণচরে প্রায় ৭ শত একর খাসজমি দখলের অভিযোগ কবিরহাটের ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল কোম্পানি ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে।

মুলত বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাশালীদের অবৈধ দখলের কারণে নোয়াখালী খাল আলোর মুখ দেখেনি বলে জানান এই জলবায়ু বিশেষজ্ঞ।

 

জেলা প্রসাশক জানান, নোয়াখালীর মুল খাল পুন:খনন ছাড়া বিকল্প নেই।

 

এদিকে, ভুলুয়া নদীসহ লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার সকল খাল দখলমুক্ত করাসহ মানবসৃষ্ট বন্যা রোধ করতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন।