১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসংযোগ, বিএনপির ‘চূড়ান্ত’ আন্দোলন

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১১:৪৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৭৬০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকার পতনের সর্বাত্মক কর্মসূচিতে যাচেছ বিএনপি৷ সোমবার‘ যুগপৎ আন্দোলনের’ কর্মসূচি ঘোষণা করবে দলটি৷ মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে তাদের আন্দোলন৷ অন্যদিকে আওয়ামী লীগ শুরু করছে নির্বাচনী জনসংযোগ৷

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে৷ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা৷ তবে তফসিল ঘোষণার আগে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করাতে চায়৷ কেননা তফসিল ঘোষণার পর সবাই নির্বাচনমুখী হয়ে গেলে তখন আন্দোলন জমানো কঠিন হয়ে পড়বে৷ অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সারাদেশে নির্বাচনী জনসংযোগ শুরু করতে যাচ্ছে যা, মঙ্গলবার থেকেই শুরু হতে পারে৷ তবে সোমবার বিএনপি কী কর্মসূচি ঘোষণা করে সেটা দেখে তারা নতুন কর্মসূচিও দেবে বলে জানা গেছে৷

বিএনপির ‘যুগপৎ’ আন্দোলন পরিকল্পনা

সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি৷ আর এই কর্মসূচি হতে পারে প্রথম দফায় ১৫ দিনের জন্য৷ মঙ্গলবার শুরু হয়ে তা চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত৷

রোববার তারুণ্যের রোডমার্চ কর্মসূচি শেষ হয়েছে বিএনপির৷ নতুন কর্মসূচিতে বড় চার-পাঁচটি বড় সমাবেশ ছাড়াও থাকবে রোডমার্চ৷ তারা এই ১৫ দিনে কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় চার-পাঁচটি বড় সমাবেশ করতে চায়৷ আর ঢাকার বাইরে সব বিভাগীয় শহরে রোডমার্চ কর্মসূচি দিতে পারে৷ এই ১৫দিনে প্রতিদিনই ঢাকাসহ সারাদেশে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করবে দলটি৷ মঙ্গলবার ঢাকার পাশে কেরানীগঞ্জে বড় একটি সমাবেশের মধ্য দিয়ে নতুন এই কর্মসূচি শুরু হতে পারে৷

এবার সব কর্মসূচিই বিএনপি এবং তাদের যুগপৎ আন্দোলনে শরিক ৩৭টি দল একযোগে পালন কববে৷ তাই সোমবার যে কর্মর্সূচি ঘোষণা করা হবে তা ‘যুগপৎ আন্দোলনের’ কর্মসূচি হিসেবেই ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে৷

বিএনপির আন্দোলনের শরিক জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের (১১দল) সমন্বয়কারী এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘‘১৫ দিনের যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে আমাদের সঙ্গে বিএনপির প্রাথমিক আলাপ আলোচনা হয়েছে৷ এই কর্মসূচি হবে বড় বড় জনসভা ও রোডমার্চ৷ ঢাকা, ঢাকার আশেপাশে ও বড় বড় শহরে এটা হবে৷ এই ১৫ দিনের কর্মসূচির মধ্যে যদি শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে না নেন তাহলে তারপর থেকে শুরু হবে টানা অবরোধ, ঘেরাও, অবস্থান ধর্মঘট৷ তবে হরতালের চিন্তা আমরা এখনো করছি না৷’’

পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা অক্টোবরেই আমরা আন্দোলনকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান৷ বলেন, ‘‘কারণ নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে৷ তার আগেই আমাদের দাবি আদায় করতে হবে৷ আর এখন থেকে সব কর্মসূচি হবে যুগপৎ৷’’

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘‘আমরা সর্বাত্মক আন্দোলনের দিকে যাচ্ছি৷ এই আন্দোলনে নতুন নতুন কর্মসূচি থাকবে৷ গ্রাম, শহরের সব জায়গায় সাধারণ মানুষকে সংগঠিত করে চূড়ান্ত আন্দোলন গড়ে তুলব৷ গণ-আন্দোলন গড়ে তুলব৷ আমাদের দাবি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন৷ এই দাবি আদায়ের জন্য আমাদের যা করণীয় তা করবো৷’’

তার কথা, ‘‘এই আন্দোলনে যুগপৎ আন্দোলনের বাইরেও আরো অনেক দল যোগ দিচ্ছে৷ সরকারের সঙ্গে দুই-চারটি সুবিধাভোগী দল ছাড়া আর কেউ নেই৷ সরকারের লজ্জা থাকলে এখনই তারা পদত্যাগ করত৷ আর আমাদের যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে সব সময়ই কথা হচ্ছে৷ এবার সব কর্মসূচি যুৎপৎভাবে পালন করা হবে৷’’

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রস্তুতি

এদিকে শাসক দল আওয়ামী লীগ সারাদেশে নির্বাচনী জনসংযোগ শুরু করতে যাচ্ছে৷ সেটা মঙ্গলবার থেকেই শুরু হতে পারে৷ সোমবার বিএনপি কী কর্মসূচি ঘোষণা করে সেটা দেখে তারা নতুন কর্মসূচিও দেবে৷

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, ‘‘যারা এমপি, যারা প্রার্থী হতে চান আগামী নির্বাচনে তারা সবাই এখন নির্বাচনী জনসংযোগে আছেন৷ এটা আরো বাড়ানো হচ্ছে৷ সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের প্রচার  ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমাদের কর্মসূচি আরো বাড়ানো হচ্ছে৷’’

পাল্টা কর্মসূচি হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের শান্তি সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি চলছে৷ ঢাকা থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আমাদের প্রতিদিনই কর্মসূচি আছে৷ নির্বাচন পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে৷ তাই আমাদের পাল্টা কর্মসূচি দিতে হবে কেন? আমাদের নিজেদেরই তো অনেক কর্মসূচি আছে৷’’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি যদি জনসভা ও রোডমার্চের নামে অতীতের মতো নাশকতা করে৷ গান পাউডার দিয়ে গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, তাহলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরার সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবে৷’’

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসংযোগ, বিএনপির ‘চূড়ান্ত’ আন্দোলন

আপডেট সময় : ১১:৪৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সরকার পতনের সর্বাত্মক কর্মসূচিতে যাচেছ বিএনপি৷ সোমবার‘ যুগপৎ আন্দোলনের’ কর্মসূচি ঘোষণা করবে দলটি৷ মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে তাদের আন্দোলন৷ অন্যদিকে আওয়ামী লীগ শুরু করছে নির্বাচনী জনসংযোগ৷

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে৷ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা৷ তবে তফসিল ঘোষণার আগে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করাতে চায়৷ কেননা তফসিল ঘোষণার পর সবাই নির্বাচনমুখী হয়ে গেলে তখন আন্দোলন জমানো কঠিন হয়ে পড়বে৷ অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সারাদেশে নির্বাচনী জনসংযোগ শুরু করতে যাচ্ছে যা, মঙ্গলবার থেকেই শুরু হতে পারে৷ তবে সোমবার বিএনপি কী কর্মসূচি ঘোষণা করে সেটা দেখে তারা নতুন কর্মসূচিও দেবে বলে জানা গেছে৷

বিএনপির ‘যুগপৎ’ আন্দোলন পরিকল্পনা

সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি৷ আর এই কর্মসূচি হতে পারে প্রথম দফায় ১৫ দিনের জন্য৷ মঙ্গলবার শুরু হয়ে তা চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত৷

রোববার তারুণ্যের রোডমার্চ কর্মসূচি শেষ হয়েছে বিএনপির৷ নতুন কর্মসূচিতে বড় চার-পাঁচটি বড় সমাবেশ ছাড়াও থাকবে রোডমার্চ৷ তারা এই ১৫ দিনে কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় চার-পাঁচটি বড় সমাবেশ করতে চায়৷ আর ঢাকার বাইরে সব বিভাগীয় শহরে রোডমার্চ কর্মসূচি দিতে পারে৷ এই ১৫দিনে প্রতিদিনই ঢাকাসহ সারাদেশে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করবে দলটি৷ মঙ্গলবার ঢাকার পাশে কেরানীগঞ্জে বড় একটি সমাবেশের মধ্য দিয়ে নতুন এই কর্মসূচি শুরু হতে পারে৷

এবার সব কর্মসূচিই বিএনপি এবং তাদের যুগপৎ আন্দোলনে শরিক ৩৭টি দল একযোগে পালন কববে৷ তাই সোমবার যে কর্মর্সূচি ঘোষণা করা হবে তা ‘যুগপৎ আন্দোলনের’ কর্মসূচি হিসেবেই ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে৷

বিএনপির আন্দোলনের শরিক জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের (১১দল) সমন্বয়কারী এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘‘১৫ দিনের যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে আমাদের সঙ্গে বিএনপির প্রাথমিক আলাপ আলোচনা হয়েছে৷ এই কর্মসূচি হবে বড় বড় জনসভা ও রোডমার্চ৷ ঢাকা, ঢাকার আশেপাশে ও বড় বড় শহরে এটা হবে৷ এই ১৫ দিনের কর্মসূচির মধ্যে যদি শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে না নেন তাহলে তারপর থেকে শুরু হবে টানা অবরোধ, ঘেরাও, অবস্থান ধর্মঘট৷ তবে হরতালের চিন্তা আমরা এখনো করছি না৷’’

পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা অক্টোবরেই আমরা আন্দোলনকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান৷ বলেন, ‘‘কারণ নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে৷ তার আগেই আমাদের দাবি আদায় করতে হবে৷ আর এখন থেকে সব কর্মসূচি হবে যুগপৎ৷’’

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘‘আমরা সর্বাত্মক আন্দোলনের দিকে যাচ্ছি৷ এই আন্দোলনে নতুন নতুন কর্মসূচি থাকবে৷ গ্রাম, শহরের সব জায়গায় সাধারণ মানুষকে সংগঠিত করে চূড়ান্ত আন্দোলন গড়ে তুলব৷ গণ-আন্দোলন গড়ে তুলব৷ আমাদের দাবি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন৷ এই দাবি আদায়ের জন্য আমাদের যা করণীয় তা করবো৷’’

তার কথা, ‘‘এই আন্দোলনে যুগপৎ আন্দোলনের বাইরেও আরো অনেক দল যোগ দিচ্ছে৷ সরকারের সঙ্গে দুই-চারটি সুবিধাভোগী দল ছাড়া আর কেউ নেই৷ সরকারের লজ্জা থাকলে এখনই তারা পদত্যাগ করত৷ আর আমাদের যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে সব সময়ই কথা হচ্ছে৷ এবার সব কর্মসূচি যুৎপৎভাবে পালন করা হবে৷’’

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রস্তুতি

এদিকে শাসক দল আওয়ামী লীগ সারাদেশে নির্বাচনী জনসংযোগ শুরু করতে যাচ্ছে৷ সেটা মঙ্গলবার থেকেই শুরু হতে পারে৷ সোমবার বিএনপি কী কর্মসূচি ঘোষণা করে সেটা দেখে তারা নতুন কর্মসূচিও দেবে৷

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, ‘‘যারা এমপি, যারা প্রার্থী হতে চান আগামী নির্বাচনে তারা সবাই এখন নির্বাচনী জনসংযোগে আছেন৷ এটা আরো বাড়ানো হচ্ছে৷ সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের প্রচার  ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমাদের কর্মসূচি আরো বাড়ানো হচ্ছে৷’’

পাল্টা কর্মসূচি হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের শান্তি সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি চলছে৷ ঢাকা থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আমাদের প্রতিদিনই কর্মসূচি আছে৷ নির্বাচন পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে৷ তাই আমাদের পাল্টা কর্মসূচি দিতে হবে কেন? আমাদের নিজেদেরই তো অনেক কর্মসূচি আছে৷’’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি যদি জনসভা ও রোডমার্চের নামে অতীতের মতো নাশকতা করে৷ গান পাউডার দিয়ে গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, তাহলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরার সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবে৷’’

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ