আগামী দুই বছর মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক মন্দা এবং দারিদ্র্য ঝুঁকিতে পড়বে বাংলাদেশ: সিপিডি
- আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
- / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
আগামী দুই বছরে মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক মন্দা এবং দারিদ্র্য ঝুঁকিতে পড়বে বাংলাদেশ। বেকারত্ব, জ্বালানি সংকট ও পতিত সরকারের দুর্নীতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এর জন্য দায়ী বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান- সিপিডি। হাসিনা সরকারের আমলের অচলাবস্থা থেকে দেশকে টেনে তুলতে ‘রেগুলেটরি রিফর্ম কমিশন’ গঠনের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। রোববার ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ পরামর্শ দেয় তারা। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, ঘুষ চক্র থেকে বের হতে এনবিআরে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা শতভাগ ডিজিটাইজেশন জরুরি। সেই সাথে ভঙ্গুর অর্থনীতির জন্য যখন-তখন টাকা ছাপানো বাংলাদেশ ব্যাংককেও বড় স্বৈরতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেতে আর মাত্র ২ বছর। কিন্তু হাসিনা সরকার বৈশ্বিক ব্যবসায় প্রতিযোগিতা সূচকে দেশকে যে নাজুক অবস্থায় রেখে গেছে তাতে এলডিসি উত্তরণের পর বড় ধরণের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাণিজ্যে। এমন দাবি করে দেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে দুর্নীতি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করার পরামর্শ দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডি।
রোববার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভায় সংস্থাটি জরিপের তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, মূল্যস্ফীতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দূষণ, বেকারত্ব, দুর্নীতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দেশকে চরম সংকটে ফেলবে।
দুর্নীতি ও ঘুষ চক্র থেকে মুক্তি পেতে এনবিআরকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দেন ব্যবসায়ীরা।
আলোচনাকে সমস্যা সমাধানের বড় হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। প্রয়োজনে বিজনেস রেগুলেটরি রিফর্ম কমিশন গঠন করা হবে বলেও ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন তিনি।
এছাড়া ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের লক্ষ্যমাত্রা থেকে সরকার সরে আসছে বলেও জানান বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান।