আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা পেয়ে নড়ে চড়ে বসেছে তৃণমুলের নেতা-কর্মীরা
- আপডেট সময় : ০২:৪১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫২৯ বার পড়া হয়েছে
আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা পেয়ে নড়ে চড়ে বসেছে তৃণমুলের নেতা-কর্মীরা। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বিজয় ছিনিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি বলছে, দলকে শক্তিশালী করা এবং চেয়ারপার্সনের মুক্তির বিষয়টি নির্বাচনের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাদের কাছে। বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করছেন, রাজনীতিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কমাতে আগেই বিষয়টি সামনে এনেছে সরকার।
আগামী সংসদ নির্বাচনের এখনো আড়াই বছর বাকি। ৯ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে নেতাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এতে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে তৃণমুলের রাজনীতি।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ জেলা নামে আওয়ামী লীগের তিনটি সাংগঠনিক কাঠামোই এখন সক্রিয়। নেতারা মনে করেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় দলে অলসতা ও কোথাও কোথাও অভ্যন্তরীন কোন্দল দেখা দিয়েছে। সেগুলো মিটিয়ে সংগঠিত হতেই নেত্রীর এই আগাম বার্তা।
জনগনের দৃষ্টি সরাতেই সরকার নতুন ইস্যু সামনে এনেছে বলে মনে করে বিএনপি নেতারা। এটাকে গুরুত্ব না দিয়ে চেয়ারপার্সনের মুক্তি আর সংগঠনকে শক্তিশালী করে আন্দোলনের মাঠে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে চায় তারা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিভিন্ন ইস্যুতে প্রশাসনের অতি উৎসাহী ভূমিকায় চাপ তৈরি হয়েছে সরকারের ওপর। সেখান থেকে বের হয়ে দলকে সক্রিয় করতেই নির্বাচনের ইস্যু সামনে এনেছে আওয়ামী লীগ।
বড় দুই দলেরই, মহানগর-জেলা-উপজেলা-ওয়ার্ড পর্যায়ের অনেক কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে আছে। হালনাগাদ করতে কাজ শুরু করেছেন বলে জানান তারা।