আগামী ৭ দিন তীব্র তাপদাহ থাকবে : আবহাওয়া বিভাগ
- আপডেট সময় : ০৮:১৬:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৭১৮ বার পড়া হয়েছে
আগামী ৭ দিন তীব্র তাপদাহ থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। দেশের বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রীর ওপরে।
আবহাওয়া অফিস জানায় রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এবং নেত্রকোনার উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। পরবর্তী তিন দিন তাপমাত্রা পরিস্থিতি একই রকম থাকবে।
মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। আবহাওয়াবিদরা জানান, আপাতত কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
এদিকে, রাজধানীর মতো একই অবস্থা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। প্রচণ্ড গরমে নাকাল খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র গরমে দেখা দিয়েছে নানা শারীরিক সমস্যা। জরুরি কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।
চুয়াডাঙ্গায় প্রতিদিন বাড়ছে তাপমাত্রা। জেলায় গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ নিয়ে টানা ৯ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়। বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। চৈত্রের শেষে দিকে এসে তেঁতে উঠেছে প্রকৃতি। বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
টানা কয়েকদিন ধরে চৈত্রের তীব্র তাপদাহে পুড়ছে রাজশাহী। চলছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। মঙ্গলবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালের তাপমাত্রাও ছিল একইরকম। রাজশাহীতে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
টানা তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে খুলনায়। ভ্যাপসা গরমে বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ। অতিষ্ঠ জনজীবন। খুলনা আবহাওয়া অফিস জানায়, খুলনায় তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঝিনাইদহে মাঝারি তাপদাহে বিপর্যস্থ জনজীবন। চড়া রোদে চরম বিপাকে কৃষক। চড়া রোদে চাষাবাদে ঘটছে ব্যাঘাত। গরম থেকে রেহাই পেতে শিশুরা মেতেছে পানির সঙ্গে দুরন্তপনায়। ক্লান্ত মানুষ বিশ্রাম নিচ্ছেন গাছের ছায়ায়। কষ্ট পাচ্ছে পশুপাখিও।
গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমে পুড়ছে কুড়িগ্রাম জেলা। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ ডিগ্রী সেলসিয়ায়। এ অবস্থায় সূর্যের তাপে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত গরমে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন মানুষজন। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের শ্রমজীবি মানুষ।