আগামী ৭ মে’র মধ্যে প্রণোদনা ঋনের টাকা না পেলে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে পারবে না বিজিএমইএ
- আপডেট সময় : ০২:১৫:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫৩২ বার পড়া হয়েছে
আগামী ৭ মে’র মধ্যে প্রণোদনা ঋনের টাকা না পেলে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে তৈরী পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। তাদের দাবি করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত এই খাতকে টিকিয়ে রাখতে হলে আরো কিছুদিন পাশে দাঁড়াতে হবে সরকারকে। তবে ব্যবসা ঘুরে দাঁড়ালে সরকারের সব ঋণ শোধ করে দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঈদের আগে শ্রমিকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ আদায় করে নেয়ার চেষ্টা করছেন গার্মেন্টস মালিকরা।
গেল বছরের মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশে করোনার প্রদুর্ভাব শুরু হলেও তার অন্তত ৫ মাস আগে থেকেই নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে তৈরী পোশাক খাতে। কারণ রপ্তানীমুখি দেশগুলোতে করোনার প্রাদুর্ভব শুরু হয়েছিলো আরো আগে। টানা দেড় বছরেরও বেশী সময় ধরে নেগেটিভ প্রবৃদ্ধি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি রপ্তানীমুখী এই শিল্পটি। তাই সংকটময় এই সময়টিতে টিকে থাকতে শ্রমীকদের বেতন দেয়ার শর্তে শুধুমাত্র সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে প্রনোদনা ঋণসহ নানান ধরণের নীতিগত সহায়তা দিয়েছে সরকার।
সেসব ঋণের টাকা শোধ না করেই ফের নাম মাত্র সুদে প্রনোদনা ঋণের আবদার করেছেন গার্মেন্টস মালিকরা। আর তা আদায় করতে ঈদের আগের সময়টা বেছে নিয়েছেন তারা।
শুধুমাত্র বিজিএমইএ’র তালিকাভুক্ত গার্মেন্টসগুলোতে কর্মরত শ্রমীক কর্মচারীদের বেতন যোগাতে প্রতিমাসে দু’শো কোটি টাকার প্রয়োজন পড়ে। এ মাসে ঈদের বোনাস বাবদ আরো একশো কোটি টাকার বাড়তি চাহিদা রয়েছে। সরকারের সহায়তা না পেলে যা যোগানো মালিকদের পক্ষে সম্ভব নয়। বলছেন এই খাতের উদ্যোক্তারা।
আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কোভিডের শুরু থেকে এই খাতের প্রতি অনেক উদারতা দেখিয়েছে সরকার। আর এই উদারতাকে দুর্বলতা ভেবে অনেক অনৈতিক সুবিধা আদায় করে নিতে চাচ্ছেন তারা।
প্রতিবছর ঈদের আগে বেতন বোনাসের দাবিতে আন্দোলনে নামতে হয় বিভিন্ন গার্মেন্টেসের শ্রমীক কর্মচারীদের। এবার সে আশংকা আরো বেশি। তাই বড় ধরণের শ্রমীক অসন্তোষ ঠেকাতে এখন থেকেই সবপক্ষের সঙ্গে সমন্ময় করে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের।