আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর আট মিনিটের সুনামির আঘাত টোংগায়
- আপডেট সময় : ০৮:৩৪:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৫৪৮ বার পড়া হয়েছে
প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর আট মিনিটের সুনামি আঘাত হানে টোংগায়। এক মিটারের বেশি উঁচু জলোচ্ছ্বাসে দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর, একজন নিহত হয়েছেন পোল্যান্ডে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে টোংগার সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এসব সংযোগ ফিরে পেতে অন্তত ১৫ দিন সময় লাগবে। এই সুনামির সতর্কতার তালিকায় ছিলো নিউজিল্যান্ড, টোঙ্গা ও ফিজিসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
সমুদ্র তলদেশের আগ্নেয়গিরি। উৎপত্তিস্থল প্রশান্ত মহাসগার। ১৫ জানুয়ারি আট মিনিট ধরে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে হয় সুনামি। বজ্রপাতের মতো বিকট শব্দ আর সৃষ্ট গ্যাস, ধোঁয়া ও ছাইয়ে কালো হয়ে যায় আকাশ। টোংগায় আঘাত হানে এক মিটারের বেশি উঁচু জলোচ্ছাস। এর আগে শুক্রবার সতর্কতা জারি করে সাবধান করা হয় নিউজিল্যান্ড, টোঙ্গা ও ফিজিসহ বেশ কয়েকটি দেশের বাসিন্দাদের।
টোঙ্গার রাজধানী থেকে আগ্নেয়গিরিটির অবস্থান ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে। নিউজিল্যান্ডের দূরত্ব ২ হাজার তিনশ কিলোমিটার এবং ফিজির দূরত্ব ৮০০ কিলোমিটার।
সুনামির সময় উপকূলের ঘর-বাড়িতে আছড়ে পড়ে বিশাল আকারের একের পর এক ঢেউ। সেখানকার মানুষদের সরিয়ে নেয়া হয় নিরাপদ জায়গায়।
প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশ দিয়ে কেবলের মাধ্যমে টোংগা বহির্বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দ্বীপ দেশটির সঙ্গে যোগাযোগ করা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। স্বজনরা কাটাচ্ছেন উদ্বিগ্ন সময়। সেখানকার টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ ঠিকঠাক হতে অন্তত দুই সপ্তাহ লাগতে পারে বলে জানিয়েছে কতৃপক্ষ।
সুনামিতে মৃত্যুর পরিসংখ্যান নিশ্চিত করতে পারেনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তবে, ডুবে এক ব্রিটিশ নারীর মৃত্যুর খবর রটেছে।
শুধু টোঙ্গা নয়, সুনামির উৎপত্তিস্থল থেকে ১০ হাজার কিলোমিটার দূরে পেরুর উপকূলেও গেলো শনিবার অস্বাভাবিক উঁচু ঢেউ চোখে পড়ে। আছড়ে পড়ে পেরুর উত্তরাঞ্চলে।সৈকতে ডুবে মারা যান আরো দুইজন।
প্রায় ৮০ হাজার মানুষ এ সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরে ৭ লাখ বর্গকিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ১৭০টি দ্বীপ নিয়ে টোংগা গঠিত। দ্বীপ দেশটির জনসংখ্যা প্রায় এক লাখ, যাদের বেশিরভাগই মূল দ্বীপ টোংগাটাপুতে বসবাস করেন।