আজ বিশ্ব টেলিভিশন দিবস
- আপডেট সময় : ০৪:৫৮:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৯
- / ১৫৫০ বার পড়া হয়েছে
আজ বিশ্ব টেলিভিশন দিবস। ১৯২৬ সালের এই দিনে টেলিভিশন উদ্ভাবন করেন জন লোগি বেয়ার্ড। তার এই উদ্ভাবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই, ১৯৯৬ সালে জাতিসংঘ এই দিনটিকে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। বিশ্বজুড়ে দিনটি পালিত হচ্ছে নানা আয়োজনের । বাংলাদেশেও সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস।
এক বোকা বাক্সের হাত ধরে এক অন্যরকম বিস্ময়ের জগতে প্রবেশ করে মানুষ। গোটা পৃথিবীটাই চলে আসে ঘরে থাকা এই চারকোনা যন্ত্রে–যার নাম টেলিভিশন।
প্রবল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অসহায়ের প্রতিবাদী কন্ঠস্বর হিসেবে, একুশ শতকে গোটা বিশ্বে টেলিভিশনকেই সবচে’ শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রযুক্তির উৎকর্ষে ও সময়ের দাবিতে বাংলাদেশেও গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে
টেলিভিশন। প্রতিদিনের খবরাখবর ও মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এখন টেলিভিশন যেনো অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ।
১৯৬৮ সালে পিটিভি নামে যাত্রা শুরু করলেও, দেশ স্বাধীনের পর নাম বদলে বাংলাদেশ টেলিভিশন। প্রথমে সাদা কালো থাকলেও, রঙিন সম্প্রচার শুরু হয় ১৯৮০ সালে।
ঊনিশ আটানব্বুই সালের পনেরো জুলাই এটিএন বাংলার হাত ধরে বেসরকারী উদ্যোগে টেলিভিশন চ্যানেলের যে যাত্রা শুরু হয়, ক্রমেই সংখ্যা বেড়ে বর্তমান কার্যক্রম চালাচ্ছে ৩১টি। বাড়তে থাকে। অনুমোদিত চ্যানেল সংখ্যা এখন প্রায় অর্ধশত।
দুই হাজার তেরো সালে ‘সাথে আছি সব সময়’ শ্লোগান নিয়ে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করে তৃতীয় প্রজম্মের প্রযুক্তি নির্ভর চ্যানেল–এসএটিভি।
প্রযুক্তি বদলের সাথে সাথে টেলিভিশনের সংবাদ ও অনুষ্ঠান পরিবেশনায় এসেছে নতুনত্ব। আর তা সৃজনশীল মানুষের নেশা, ভালোবাসা.আর জনগণের আগ্রহ বাড়িয়েছে। এখানেই টেলিভিশন দিবসের সার্থকতা।