০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

আজ বুলবুল আহমেদের প্রয়াণ দিবস

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩
  • / ১৬২৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকাই চলচ্চিত্রে বুলবুল আহমেদকে প্রথম ‘মহানায়ক’ বলা হয়। এমনকি ঢালিউডের প্রথম ‘দেবদাস’ও তিনিই। ২০১০ সালের ১৫ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন এই মহাতারকা। তার প্রয়াণের ১৩ বছর পূর্ণ হলো।

বুলবুল আহমেদের জন্ম ১৯৪০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর পুরান ঢাকায়। তার আসল নাম তাবারক আহমেদ। বাবা-মা তাকে আদর করে বুলবুল বলে ডাকতেন। আর এই নামেই তিনি পরিচিত হন দেশজুড়ে। ঢাকার কলেজিয়েট স্কুল, নটর ডেম কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পড়াশোনা করেন। এরপর তৎকালীন ইউবিএল ব্যাংক টিএসসি শাখার ম্যানেজার হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন বুলবুল আহমেদ।

চাকরির পাশাপাশিই অভিনয় শুরু করেন বুলবুল আহমেদ। টেলিভিশন নাটকে অভিনয় দিয়েই শুরু হয় তার অভিনয় জীবন। আবদুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় ‘বরফ গলা নদী’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। এরপর একে একে তিনি প্রায় চার শতাধিক নাটকে অভিনয় করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- মালঞ্চ, ইডিয়েট, মাল্যদান, বড়দিদি, আরেক ফাল্গুন, শেষ বিকেলের মেয়ে।

বুলবুল আহমেদের চলচ্চিত্র জীবন শুরু হয় ১৯৭৩ সালে আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমামের (ইউসুফ জহির) ‘ইয়ে করে বিয়ে’ সিনেমার মাধ্যমে। এই সিনেমায় তার অভিনয় আলোচিত হয়। যার ফলে পরের বছর আবদুল্লাহ আল মামুনের ‘অঙ্গীকার’ সিনেমায় অভিনয় করেন। এটিও দারুণ সাফল্য পায়।

ক্যারিয়ারে বুলবুল আহমেদ অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে ‘মহানায়ক’, ‘সীমানা পেরিয়ে’, ‘সূর্য্য কন্যা’, ‘ধীরে বহে মেঘনা’, ‘জীবন নিয়ে জুয়া’, ‘রূপালী সৈকতে’, ‘বধূ বিদায়’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দি ফাদার’ উল্লেখযোগ্য। তবে বুলবুল আহমেদ বাংলা চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আছেন যে’কটা সিনেমার জন্য সেগুলো হলো ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’, ‘দেবদাস’ ও ‘মহানায়ক’। এই সিনেমাগুলো তাকে নিয়ে যায় অনন্য উচ্চতায়।

শুধু অভিনয়ই নয়, চলচ্চিত্র পরিচালনা করেও সফল হন বুলবুল আহমেদ। তার পরিচালিত ‘ওয়াদা’, ‘মহানায়ক’, ‘ভালো মানুষ’, ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’, ‘আকর্ষণ’, ‘গরম হাওয়া’, ‘কত যে আপন’ সিনেমাগুলো আলোচিত হয়েছে। অভিনয়ের জন্য বুলবুল আহমেদ চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। ১৯৭৭ সালে ‘সীমানা পেরিয়ে’, ১৯৭৮ সালে ‘বধু বিদায়’, ১৯৮০ সালে ‘শেষ উত্তর’ ও ‘১৯৮৭ সালে ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ সিনেমার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আজ বুলবুল আহমেদের প্রয়াণ দিবস

আপডেট সময় : ০২:০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩

ঢাকাই চলচ্চিত্রে বুলবুল আহমেদকে প্রথম ‘মহানায়ক’ বলা হয়। এমনকি ঢালিউডের প্রথম ‘দেবদাস’ও তিনিই। ২০১০ সালের ১৫ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন এই মহাতারকা। তার প্রয়াণের ১৩ বছর পূর্ণ হলো।

বুলবুল আহমেদের জন্ম ১৯৪০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর পুরান ঢাকায়। তার আসল নাম তাবারক আহমেদ। বাবা-মা তাকে আদর করে বুলবুল বলে ডাকতেন। আর এই নামেই তিনি পরিচিত হন দেশজুড়ে। ঢাকার কলেজিয়েট স্কুল, নটর ডেম কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পড়াশোনা করেন। এরপর তৎকালীন ইউবিএল ব্যাংক টিএসসি শাখার ম্যানেজার হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন বুলবুল আহমেদ।

চাকরির পাশাপাশিই অভিনয় শুরু করেন বুলবুল আহমেদ। টেলিভিশন নাটকে অভিনয় দিয়েই শুরু হয় তার অভিনয় জীবন। আবদুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় ‘বরফ গলা নদী’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। এরপর একে একে তিনি প্রায় চার শতাধিক নাটকে অভিনয় করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- মালঞ্চ, ইডিয়েট, মাল্যদান, বড়দিদি, আরেক ফাল্গুন, শেষ বিকেলের মেয়ে।

বুলবুল আহমেদের চলচ্চিত্র জীবন শুরু হয় ১৯৭৩ সালে আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমামের (ইউসুফ জহির) ‘ইয়ে করে বিয়ে’ সিনেমার মাধ্যমে। এই সিনেমায় তার অভিনয় আলোচিত হয়। যার ফলে পরের বছর আবদুল্লাহ আল মামুনের ‘অঙ্গীকার’ সিনেমায় অভিনয় করেন। এটিও দারুণ সাফল্য পায়।

ক্যারিয়ারে বুলবুল আহমেদ অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে ‘মহানায়ক’, ‘সীমানা পেরিয়ে’, ‘সূর্য্য কন্যা’, ‘ধীরে বহে মেঘনা’, ‘জীবন নিয়ে জুয়া’, ‘রূপালী সৈকতে’, ‘বধূ বিদায়’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দি ফাদার’ উল্লেখযোগ্য। তবে বুলবুল আহমেদ বাংলা চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আছেন যে’কটা সিনেমার জন্য সেগুলো হলো ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’, ‘দেবদাস’ ও ‘মহানায়ক’। এই সিনেমাগুলো তাকে নিয়ে যায় অনন্য উচ্চতায়।

শুধু অভিনয়ই নয়, চলচ্চিত্র পরিচালনা করেও সফল হন বুলবুল আহমেদ। তার পরিচালিত ‘ওয়াদা’, ‘মহানায়ক’, ‘ভালো মানুষ’, ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’, ‘আকর্ষণ’, ‘গরম হাওয়া’, ‘কত যে আপন’ সিনেমাগুলো আলোচিত হয়েছে। অভিনয়ের জন্য বুলবুল আহমেদ চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। ১৯৭৭ সালে ‘সীমানা পেরিয়ে’, ১৯৭৮ সালে ‘বধু বিদায়’, ১৯৮০ সালে ‘শেষ উত্তর’ ও ‘১৯৮৭ সালে ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ সিনেমার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।