আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে পল্লীবন্ধুর অবদান অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই
- আপডেট সময় : ০১:৪৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
অসাধারণ এক বর্ণিল জীবনে তিনি পেয়েছেন অনেক কিছুই। আবার দেশ ও মানুষের জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসায় সেনাপ্রধানের মতো পদ ছাপিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন পল্লীবন্ধু। বলছি, সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কথা। উন্নয়নের এই পথিকৃতকে হারানোর দুই বছর আজ। কিন্তু তার অবদানের স্মৃতি চিহ্ন অক্ষয় হয়ে আছে বাংলাদেশে। তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন, এসএ গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দিন আহমেদ। তাঁর মতে, আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে পল্লীবন্ধুর অবদান অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ…ছিলেন সেনাপ্রধান, আবার রাজনীতির মাঠে তিনি মাটির মানুষ…তাইতো তিনি সবার কাছেই পল্লীবন্ধু।
রংপুরে পেয়ারা ডাকনামে বেড়ে উঠা এরশাদ উন্নয়নের এক অনন্য ইতিহাস রচনা করেছেন বাংলাদেশে। সাফল্যের সঙ্গেই পালন করেছেন সেনাপ্রধানের দায়িত্ব। টানা ৯ বছর ছিলেন রাষ্ট্র পরিচালনায়। জীবনের কোন নির্বাচনেই পরাজয়ের কালিমা স্পর্শ করেনি তাঁকে। পল্লীবন্ধুর হাতে গড়া জাতীয় পার্টি এখন দেশের সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক শক্তি।
উন্নয়নের এই কীর্তিমান কিংবদন্তীকে হারানোর দুই বছরে, তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন, এসএ গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দিন আহমেদ। বলেছেন, এরশাদ দায়িত্ব নেয়ার পরই বদলে যায়, বাংলাদেশ। উপজেলা পরিষদ সৃষ্টি থেকে শুরু করে, শিক্ষা..স্বাস্থ্য..কৃষি..যোগাযোগ ব্যবস্থা কিংবা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সবখানেই ছিলো তার সরব পদচারণা। দুর্নীতির ছিটেফোটাও ছিলো না, তার শাসনামলে।
তাঁর সময়েই জাতিসংঘ মিশনে সৈনিক, প্রবাসে শ্রমিক আর দেশীয় পণ্য রফতানি করে স্বাবলম্বীতার পথে হাটতে শুরু করে বাংলাদেশ। দেশের রাজনীতিতে সৌহার্দ, সম্প্রীতি আর ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, এইচ এম এরশাদ। ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার নিত্য লড়াই ছিলো তাঁর।
বাংলাদেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসার সূতোয় বেঁধেছিলেন এরশাদ। তাইতো যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন অম্লান হয়ে থাকবে পল্লীবন্ধুর কীর্তি। তার আদর্শ ও চেতনা ইতিবাচক রাজনীতিতে পথ দেখাবে চিরকাল।
সাবেক এ সফল রাষ্ট্র নায়কের দ্বিতীয় মৃত্যুবাষিকী উপলক্ষে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এসএগ্রুপের কর্ণধার সালাহউদ্দিন আহমেদ।
২০১৯ সালের ১৪ জুলাই, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চির বিদায় নেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এরপর কয়েক দফা জানাজা শেষে ১৬ জুলাই লাখো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত পল্লীবন্ধুকে রাষ্ট্রীয় ও সামরিক মর্যাদায় সমাহিত করা হয় রংপুরের পল্লী নিবাসের লিচু বাগানে।