আধুনিক বাদ্যযন্ত্র আর প্রযুক্তির কাছে অসহায় বাউল শিল্পীরা
- আপডেট সময় : ০৫:৫১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩
- / ১৫৮৪ বার পড়া হয়েছে
গ্রামগঞ্জে জারি আর সারি গানের আসর হলেই, দেখা মিলতো বাউলদের। কিন্ত কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে বাউল গানের আসর, কমেছে বাউল শিল্পীও। আধুনিক বাদ্যযন্ত্র আর প্রযুক্তির কাছে অসহায় বাউল শিল্পীরা। অর্থ কষ্টে ভালো নেই গাইবান্ধার শত শত বাউল শিল্পী। জেলা জুড়ে নেই চর্চাকেন্দ্র। পরিবার বাঁচাতে পেশা পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছেন অনেকেই।
একতারা হাতে গ্রামবাংলায় ছুটে চলা ৪০উর্ধ্ব মানুষটির নাম লাল মিয়া বয়াতি। নিজের এক টুকরো বসতবাড়ি ছাড়া কিছুই নেই তার। পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে আছেন। জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে কিছুটা আশ্বাস পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
লাল মিয়া বয়াতির কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও বিপাকে জেলার শত শত বাউল পরিবার। কাজের অভাবে পেশা পরিবর্তন করছেন অনেকেই। গ্রাম বাংলার লোকগীতি আর সংস্কৃতি তুলে ধরা এই বাউলদের দিন কাটছে কষ্টে। তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহবান পরিবার ও স্থানীয়দের।
এদিকে, বাউল শিল্পীদের গানের চর্চাকেন্দ্র নির্মাণসহ সব রকম সহযোগিতায় দাবি করেন শিল্পকলা একাডেমীর এই নেতা।
বাউলদের ডাটাবেজ তৈরি করে সহায়তার কথা জানান জেলা প্রশাসক।
গাইবান্ধার ৭ উপজেলায় প্রায় তিন শতাধিক বাউল শিল্পীর বসবাস।