০১:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আনিসুল হকের সুপারিশে খুলনার আদালতে নিয়োগ পেয়েছেন ২২ জন

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১১:৩১:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৯২৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সুপারিশে খুলনার দুই আদালতে
নিয়োগ পেয়েছেন ২২ জন। ৬৬টির মধ্যে বাকী পদগুলোতও নিয়োগ দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাদের পছন্দ অনুযায়ি। কর্মচারী নিয়োগে এমন পক্ষপাতিত্বে ক্ষুব্ধ ছিলেন সাধারণ মানুষ। এসব নিয়ে আগে প্রতিবাদের সুযোগ না পেলেও শেখ হাসিনার পতনের পর দলীয় নিয়োগ নিয়ে তোলপাড় খুলনার আদালত পাড়াখুলনা মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালত এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সম্প্রতি ৬৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।২৪ মে লিখিত পরীক্ষার পর কয়েক ধাপে নেওয়া হয় মৌখিক পরীক্ষা।এসব নিয়োগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার নিজ জেলার ৫০ জনকে নিয়োগ দিতে চাপ প্রয়োগ করলে এ নিয়ে খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যেও বিভক্তি তৈরি হয়। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে বিয়সটি দফারফা হয়।

এছাড়াও খুলনার শেখবাড়ি হিসাবে পরিচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাইদের সুপারিশে ১০ জন,খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সুপারিশে ২জন,খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামের সুপারিশে ২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।এসব নিয়োগে ১৫ থেকে ২৫ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।খুলনা জেলা আইনজীবীরা বলছেন,স্থানীয় নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার মূল্যায়ন করার বিকল্প নেই।

জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের অভিযোগ, এ নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ ও অনৈতিক।এ নিয়োগ পুনরায় প্রদানের দাবি জানান তারা।

খুলনা নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন,যাদের অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের নিয়োগ বাতিল করে এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট যারা সুপারিশ করেছেন তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাঝামাঝি পর্যায় থেকে এখন পর্যন্ত চাকরিবঞ্চিতরা এ নিয়ে আন্দোলন করছে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আনিসুল হকের সুপারিশে খুলনার আদালতে নিয়োগ পেয়েছেন ২২ জন

আপডেট সময় : ১১:৩১:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সুপারিশে খুলনার দুই আদালতে
নিয়োগ পেয়েছেন ২২ জন। ৬৬টির মধ্যে বাকী পদগুলোতও নিয়োগ দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাদের পছন্দ অনুযায়ি। কর্মচারী নিয়োগে এমন পক্ষপাতিত্বে ক্ষুব্ধ ছিলেন সাধারণ মানুষ। এসব নিয়ে আগে প্রতিবাদের সুযোগ না পেলেও শেখ হাসিনার পতনের পর দলীয় নিয়োগ নিয়ে তোলপাড় খুলনার আদালত পাড়াখুলনা মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালত এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সম্প্রতি ৬৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।২৪ মে লিখিত পরীক্ষার পর কয়েক ধাপে নেওয়া হয় মৌখিক পরীক্ষা।এসব নিয়োগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার নিজ জেলার ৫০ জনকে নিয়োগ দিতে চাপ প্রয়োগ করলে এ নিয়ে খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যেও বিভক্তি তৈরি হয়। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে বিয়সটি দফারফা হয়।

এছাড়াও খুলনার শেখবাড়ি হিসাবে পরিচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাইদের সুপারিশে ১০ জন,খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সুপারিশে ২জন,খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামের সুপারিশে ২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।এসব নিয়োগে ১৫ থেকে ২৫ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।খুলনা জেলা আইনজীবীরা বলছেন,স্থানীয় নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার মূল্যায়ন করার বিকল্প নেই।

জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের অভিযোগ, এ নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ ও অনৈতিক।এ নিয়োগ পুনরায় প্রদানের দাবি জানান তারা।

খুলনা নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন,যাদের অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের নিয়োগ বাতিল করে এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট যারা সুপারিশ করেছেন তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাঝামাঝি পর্যায় থেকে এখন পর্যন্ত চাকরিবঞ্চিতরা এ নিয়ে আন্দোলন করছে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি।