আফগানিস্তানে কোন সশস্ত্র গোষ্টিকে তৎপরতা চালাতে দেয়া হবে না
- আপডেট সময় : ০৮:৪৩:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫৯৩ বার পড়া হয়েছে
আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করে কোন সশস্ত্র গোষ্টিকে তৎপরতা চালাতে দেয়া হবে না। যে কোন মূল্যে আফগান নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সন্মেলনে এমন প্রতিশ্রুতি দিলেন তালেবান নেতারা। সংবাদ সন্মেলনে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ নতুন সরকারের নানা পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বলেন, গণমাধ্যম স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবে। নারী পাবে শিক্ষা ও কাজের সুযোগ।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ক্ষমতা হারায় তালেবান। ২০ বছর পর আবারো কাবুলের মসনদে তালেবানরা।
তাদের হঠাৎ প্রত্যাবর্তনে চারদিকে ভয় ও আশঙ্কা। শরণার্থী সংকট তীব্র হতে পারে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।
সেই ভয় কাটাতেই মঙ্গলবার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তালেবানের পক্ষ থেকে কথা বলেন মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। সেখানে নারীদের নির্ভয়ে নিজ নিজ জায়গায় থেকে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দেশের সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ আগের মতোই থাকবে।একইসঙ্গে ইসলামবিরোধী না হলে গণমাধ্যমগুলোও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে।
কাবুল দখলের পর সবার নজর এখন দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানে। ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। হোয়াইট হাউস বলছে, তাদের আলাপচারিতা হয় আফগানিস্তান ইস্যুতেই।
একই সঙ্গে এ ইস্যুতে আগামী সপ্তাহে ভাচুর্য়াল বৈঠকে বসছেন জি-৭ নেতারা। এদিকে, আফগানিস্তানের ২০ হাজার নাগরিককে আশ্রয় দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। তবে, জোর করে ক্ষমতা দখল করায় তালেবানকে ‘স্বীকৃতি’ দেবে না বলে ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই।
তালেবানের দখলের পর সেখান থেকে আরও ১ হাজার ১০০ জনের বেশি মার্কিন নাগরিক আমেরিকায় ফিরে গেছেন।
আফগানিস্তান দখলের পর সেখানে ফিরতে শুরু করেছেন তালেবানের নির্বাসিত শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা।
তাদের মধ্যে রয়েছেন সংগঠনটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও জ্যেষ্ঠ নেতা মোল্লা আবদুল গানি বারাদারও।