আবারও এলসি ছাড়া গাড়ি আমদানিতে তৎপর অসাধু ব্যবসায়ীরা
- আপডেট সময় : ০১:০১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
- / ১৭৬৮ বার পড়া হয়েছে
নামমাত্র জরিমানার সুযোগ নিয়ে ফের এলসি ছাড়া গাড়ি আমদানির অপতৎপরতা শুরু করেছে রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানিতে জড়িত একটি সিন্ডিকেট। আসছে বাজেটে গাড়ির ওপর ট্যাক্স বাড়ানোর আশংকা থেকেই এলসি ছাড়া বিপুল পরিমান গাড়ি আনছে তারা। ইতিমধ্যে একটি শিপিং লাইন থেকে জাহাজ ভাড়া করা হয়েছে। ২৫ এপ্রিল এক হাজার একশোটি গাড়ি নিয়ে জাপান থেকে সরাসরি বাংলাদেশে আসবে জাহাজটি। বার বার এমন ঘটনা দেশের অর্থনৈতিক শৃঙ্খলার পরিপন্থী বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে এলসি ছাড়া গাড়ি না আনার দাবি করেছে বারভিডা।
বিলাসবহুল পণ্য বিবেচনায় প্রতিবছর বাজেটে গাড়ির ওপর ট্যাক্স বাড়ায় সরকার। এবছরও সেই ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে বলেই ধারণা সবার। আর এই শঙ্কা থেকেই মে মাসের মধ্যে বড় একটি গাড়ির চালান আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যার বড় অংশের বিপরীতে এলসি হয়নি এখনো। ফুটেজ-১
২০২২ সালে এলসি ছাড়া একসঙ্গে সাড়ে সাতশো গাড়ি আসে। ডলার সংকটসহ নানা সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় ৬ শতাংশ জরিমানা দিয়ে গাড়িগুলো খালাসের সুযোগ দেয় এনবিআর। সেই সুযোগর অপব্যবহার করতে এবারও তৎপর গাড়ি আমদানিতে সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেট। যা দেশের জাতীয় অর্থনৈতিক নীতির পরিপন্থী। ফুটেজ-২ ও সেটাফ
স্বাভাবিক সময়ে জাপান থেকে বাংলাদেশে জাহাজ আসে সিঙ্গাপুর হয়ে। যাতে সময় লাগে দেড় মাসের বেশি। তাই বাজেটের আগে গাড়ি ভর্তি জাহাজ বাংলাদেশের জলসীমায় আনতে ইস্টার্ণ কার লাইজার নামের একটি শিপিং কোম্পানী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত সরাসরি জাহাজ ভাড়া করেছে সিন্ডিকেটটি। ফুটেজ-৩
সরাসরি জাহাজ আনার কথা স্বীকার করলেও এই চালানে এলসি ছাড়া গাড়ি থাকার কথা অস্বীকার করেছে রিকন্ডিশন গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বারভিডা। সেটাফ
জাপানের গাড়ি রপ্তানীকারকদের বড় অংশ প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আর তাদের আত্মীয় স্বজনরাই নিয়ন্ত্রন করে বাংলাদেশে রিকন্ডিশন গাড়ির বাজার। একারনেই এলসি ছাড়া গাড়ি আনার ব্যাপারে কঠোর না হয়ে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার ও অপব্যবহারের ঝুঁকি এই খাতে সবচেয়ে বেশি। যদিও চালানটি দেশে আসার আগে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি কাস্টমস। ফুটেজ-৪ ও ফুটেজ-৫