আবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ে

- আপডেট সময় : ০৭:৪১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫৫০ বার পড়া হয়েছে
হিমালয়ের হিম বাতাসের কারণে আবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। এছাড়া কুড়িগ্রাম এবং রাজশাহীসহ সারাদেশে তাপমাত্রা কমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কনকনে ঠাণ্ডায় শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাসকষ্ট এবং ডায়রিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগে।
তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া জেলায় কুয়াশা ও হিমালয়ের হিম বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শীতের প্রভাবে ঘর থেকে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ।
কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতকষ্টে ভুগছেন কুড়িগ্রামের হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। জেলা প্রশাসন থেকে ৫১ হাজার কম্বল বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
ভক্সপপ
রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এরআগেও টানা পাঁচদিন ধরে রাজশাহীর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা মিলছে সূর্য্যের।
চুয়াডাঙ্গায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
নড়াইলে তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও শীতের তীব্রতা তেমন কমেনি। ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
ময়মনসিংহে বেড়েই চলেছে শীতের প্রকোপ। জেলায় এ পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা।খড়কুটো জ্বেলে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে গ্রামের মানুষ।
গোপালগঞ্জে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় ছিন্নমূল, গরীব ও খেটে খাওয়া মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এদিকে, জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
গেল দু’দিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা সুর্যের দেখা মিললেও ঘন কুয়াশায় এখনও ঢাকা গাইবান্ধার জনপথ। তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও স্বাভাবিক হয়নি জেলার ব্রক্ষপুত্র, তিস্তা ও ঘাঘট নদী বেষ্টিত ১৬৫টি চরের জন জীবন।
দিনাজপুরে সবর্নিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলার ১৩টি উপজেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।