আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে কাস্টমসের প্রবৃদ্ধিতে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তোলার সুযোগ নেই
- আপডেট সময় : ০২:৩৪:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
রাজস্ব আদায়ে গেলো অর্থবছরের চেয়ে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। চলতি অর্থবছরের এক মাস বাকি থাকতেই, লক্ষ্যমাত্রার ৯০ শতাংশের বেশি রাজস্ব আদায় করে প্রতিষ্ঠানটি। কাস্টম কমিশনারের দাবি, সক্ষমতার সবটুকু ব্যবহার করে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টা চলছে। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, শুধুমাত্র কাস্টমসের পরিসংখ্যন বিশ্লেষণ করে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এমনটা মনে করার কারণ নেই।
এককভাবে রাজস্ব আদায়ে দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। প্রতি অর্থবছরের শেষ সময়ে এসে সবার নজর থাকে প্রতিষ্ঠাটির ওপর। কারণ এখানকার রাজস্ব আদায়ের গতি প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করেই প্রণয়ন করা হয় আগামী বছরের জাতীয় বাজেট।
গেলো ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৫১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে রেকর্ড গড়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস। শতাংশের হিসেবে প্রবৃদ্ধি ছিলো ২৩ শতাংশের বেশি। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ৬৫ হাজার ৪ শো ৩৫ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয় সরকার। এক মাস বাকি থাকতেই, কাছাকাছি পৌছনোর দাবি কাস্টমস কমিশনারের।
রপ্তানীমুখী শিল্প মালিকরা বলছেন, লোকবল স্বল্পতা, শতভাগ অটোমেশন না হওয়াসহ এখনো নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমসে। রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হলেও তার সুফল পাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা।
চট্টগ্রাম চেম্বার বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে সব পণ্যের দাম বাড়ায়, বেশি রাজস্ব আদায় হচ্ছে। কাস্টমসের প্রবৃদ্ধিকে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য সুখবর ভেবে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তোলার সুযোগ নেই।
মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি রোধ করার পাশাপাশি শুল্ক ফাঁকি ঠেকানো গেলে, কাস্টমসের রাজস্ব আদায় আরো বাড়েবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।