আমেরিকার জনগণ অশান্তি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে
- আপডেট সময় : ০১:৫৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
আমেরিকার জনগণ অশান্তি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে বলে মনে করেন কুটনীতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করোনাকালেও এই জনরায় সেটাই প্রমান করে বলে মনে করেন সাবেক রাষ্ট্রদুত মোহাম্মদ শফিউল্লাহ। অন্যদিকে সারা পৃথিবীতে আমেরিকার হারানো সুনাম ফিরিয়ে আনতে ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে বাইডেনকেই বেছে নিয়েছেন অধিকাংশ আমেরিকান বলে মত আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক ও সাবেক রাষ্ট্রদুত রাশেদ আহমেদ চৌধুরীর। তবে দুজনই মনে করেন বাইডেন জেতা মানেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান সহ অভিবাসী বিষয়ক নীতির সুবাতাস পাওয়া।
ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন যখন দাবি করছেন যে তিনি জয়ের পথে রয়েছেন, তখন মি. ট্রাম্প ভোট জালিয়াতি এবং ব্যালট চুরির নানা অভিযোগ এনে বলেছিলেন তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন। তবে তা কথার কথা নয়,রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেনও । যদিও তা খুব একটা আমলে নিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রের আদালত।
শুক্রবারের পর ট্রাম্প না বাইডেন কে হচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তার উত্তর স্পষ্ট যে বাইডেনই হচ্ছেন হোয়াইট হাউজের কর্তা । করোনায় সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা- দুদিক থেকেই যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব তালিকার এক নম্বরে হলেও ভোটে বিন্দুমাত্র সে প্রভাব পড়েনি।বিশ্ব রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনায় ভোটার সংখ্যা কমেনি বরং বেড়েছে। তবে মত গেছে মহামারীতে ভোগান্তি সহ আমেরিকানদের অতীত ঐতিহ্যের পক্ষে যা ট্রাম্পকে বিপদে ফেলেছে।
রাশেদ আহমেদ চৌধুরীর মতে, কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গের মধ্যে বিভেদ আর মুসলিম বিদ্বেশী হওয়ায় এবার ভোটের ফলাফল পাল্টেছে। তাই মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমরাও বাইডেন জেতার সুফল পাবেন বলে মত তার। অন্যদিকে সাবেক রাষ্ট্রদুত মোহাম্মদ শফিউল্লাহ মনে করেন, আমেরিকার গ্রহনযোগ্যতা বাড়াতে এই মুহূর্তে দ্বায়িত্বশীল আচরণ বাইডেনের কাছ থেকেই আশা করেন অধিকাংশ আমেরিকান। দুই কুটনীতিকের মতেই সারাবিশ্বে যুদ্ধ না বাধালেও ইরানকে সামনে এনে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভেদ ছড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প যা স্বাভাবিকভাবে নেয়নি বিশ্ব ক্ষমতাধররাও।