আম্পানের আঘাতে ৫ জেলায় ৬ জনের মৃত্যু

- আপডেট সময় : ১১:০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মে ২০২০
- / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
উপকূল অতিক্রম করে সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’ দুর্বল হয়ে এখন স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। গেল রাত ৮টা থেকে এটি বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। প্রায় ৮ ঘণ্টার তাণ্ডবে পানিতে ডুবে ও গাছ চাপায় উপকূলীয় ৫ জেলায় ৬ জনের মৃত্যু হয়। উপকূলে ৭ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। তবে সুপার সাইক্লোন আম্পানের মূল আঘাত হয়েছে ভারতের কোলকাতায়। মহা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাতভর বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস বয়ে যায়। ঝড়ে উত্তরাঞ্চলে কৃষির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সাগর এখনো উত্তাল থাকায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বহাল রয়েছে।
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে বুধবার বিকেল ৪টা থেকে সাগর দ্বীপ ও এর পূর্ব পাশ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সুন্দরবন অংশে আঘাত আনতে শুরু করে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদফতর।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিঃমিঃ মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২১০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হচ্ছে। পাশাপাশি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০-১৬০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।
আম্পান আঘাত হানায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর এবং এর আওতাধীন উপকূলীয় জেলাগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর এবং এর আওতাধীন এলাকায় ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।