আলোচনার দাবি করে হঠাৎ নীরব এমভি আব্দুল্লাহর মালিকপক্ষ
- আপডেট সময় : ০৯:৪৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪
- / ১৬৮৩ বার পড়া হয়েছে
সোমালিয়া জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও ২৩ নাবিককে উদ্ধারে আলোচনা শুরু হলেও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও। তাই জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ বলতে পারছে না কেউ। মেরিটাইম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বিধি নিষেধের কারণে জলদস্যুদের সঙ্গে সমঝোতার কোন বিকল্প নেই। এদিকে এতদিন জাহাজের অবস্থান সম্পর্কে গণমাধ্যমে নিয়মিত কথা বলে আসলেও হঠাৎ মুখে কুলুপ এটেছে জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ।
সোমালিয়া জলদস্যুদের হাতে আটক বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও তার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে বেশ কয়েকটি পথ ধরে এগোচ্ছে জাহাজটির মালিকপক্ষ ও সরকার। একদিকে যেমন দস্যুদের সঙ্গে মুক্তিপন নিয়ে দেনদরবার চলছে অন্যদিকে সামুদ্রিক বাণিজ্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাপে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আর এই কারনেই জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহকে ঘিরে অবস্থান করছে ভারত ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের একাধিক যুদ্ধ জাহাজ। সক্রিয় রয়েছে সোমালিয়ার রাষ্ট্রিয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও।ফুটেজ-২ তবে জিম্মি নাবিকদের জীবনের নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে চাপ প্রয়োগের চেয়ে সমঝোতার ওপরই গুরুত্ব দিচ্ছে নৌ বাণিজ্য দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তা।
তবে মেরিটাইম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমভি আব্দুল্লাহকে মুক্ত করতে নয় বরং বাণিজ্যিক এই গুরুত্বপুর্ণ নৌ রুটকে পাহাড়া দিতেই সোমালিয়ার সীমানায় অবস্থান করছে ভারত ও ইইউয়ের যুদ্ধ জাহাজ। কারণ আন্তর্জাতিক নানান বিধি নিষেধের কারণেই সোমালিয়ার জলসীমায় প্রবেশ করার সুযোগ বহিরাগতদের নেই।
অপেক্ষাকৃত কম সময়ের মধ্যেই দস্যুরা অপহৃত জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। এটা ইতিবাচক।ফুটেজ-৪ কিন্তু এর অর্থই জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যায়নি বলেও মনে করেন এই সমুদ্র বিশেষজ্ঞ। সেটাফ
গেল ১২ মার্চ আফ্রিকা থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। ২০ মার্চ জাহাজের স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করে প্রথম মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দস্যুরা।
এতদিন এসব নিয়ে গণমাধ্যমে নিয়মিত কথা বললেও শনিবার থেকে মুখে কুলুপ এটেছে জাহাজটির মালিক পক্ষ কেএসআরএম