আশির দশক থেকে সুন্দরবন উপকূলের তাণ্ডব শুরু করে জলদস্যু ও বনদস্যুরা
- আপডেট সময় : ১২:২১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ নভেম্বর ২০২১
- / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
আশির দশক থেকে সুন্দরবন উপকূলের তাণ্ডব শুরু করে জলদস্যু ও বনদস্যুরা। এতে এই অঞ্চলে বনজীবী ও মৎস্যজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ে দস্যুদের কাছে। ডাকাতি, অপহরণ ও হত্যাসহ নানা তাণ্ডব চালায় একাধিক দস্যু বাহিনী। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে।
ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ খ্যাত পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন উপকূলের বনজীবী ও মৎস্যজীবীদের এই জিম্মি দসা থেকে বেড়িয়ে আনতে রেবের তৎপরতায় সফল হয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত সুন্দরবন ঘোষণা করেন। এই হিসেবে আজ সোমবার ১ নভেম্বর দস্যুমুক্ত সুন্দরবনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি। ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রেবের মহাপরিচালককে প্রধান সমন্বয়কারী করে সুন্দরবনে জলদস্যু দমনে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এরপর থেকে বনদস্যু ও জলদস্যু মুক্ত করতে প্রক্রিয়া শুরু করে । ২০১২ সাল থেকে জোরালো অভিযানে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বনের গহীনে থাকা জলদস্যুরা।এরপর দস্যুতার অবসান ঘটিয়ে আত্মসমর্পণের পথ বেছে নেয়। ২০১৬ সালের ৩১ মে থেকে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবনের মোট ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন সদস্য ৪৬২টি অস্ত্র ও ২২ হাজার ৫০৪ রাউন্ড গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করেন। এই কারণে সম্পূর্ণভাবে জলদস্যু মুক্ত হয় সুন্দরবন।