ইইউ’র জিএসপি সুবিধা বাতিলের হুমকিতে ঘুম হারাম পোশাক শিল্প মালিকদের
- আপডেট সময় : ০১:৩৩:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ১৯৮৭ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারির পর ইউরোপীয়ন ইউনিয়নের জিএসপি সুবিধা বাতিলের হুমকিতে ঘুম হারাম হয়ে গেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানী খাত পোশাক শিল্প মালিকদের। তাদের দাবি শ্রমিক নিরাপত্তা ও অধিকারের অনেক শর্ত পুরণের পরও এই ধরনের হুমকিতে উদ্যোক্তা এবং ক্রেতাদের ভেতরেও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে সরকারের রাজনৈতিক টানাপোড়নের খেসারত দিতে হচ্ছে জাতীয় অর্থনীতিকে। এখনই সতর্ক না হলে বিপর্যয় নামবে বৈদেশিক বাণিজ্যে।
ন্যায্য বেতন থেকে বঞ্চিত করা, নিরাপত্ত্বা নিশ্চিত না করার পাশাপাশি বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নামা শ্রমিকদের ওপর রাষ্ট্রিয় বল প্রয়োগে উদ্বেগ জানিয়ে বাণিজ্যিক নিশেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই রেশ কাটতে না কাটতেই একই অজুহাতে ইউরোপের ২৫ টি দেশের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কোমুক্ত প্রবেশাধিকার বা জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার করার হুমকি দিল ইউরোপীয়ন ইউনিয়ন।
মোট রপ্তানী বাণিজ্যের অন্তত ৮৫ ভাগের নিয়ন্ত্রক এই দেশগুলো থেকে হঠাৎ এমন হুমকি-ধামকিতে আতঙ্কিত এই খাতের উদ্যোক্তারা। ফুটেজ-২ তাদের দাবি, রপ্তানীমুখি দেশগুলোর সঙ্গে সরকারের কুটনৈতিক তৎপরতা না বাড়ালে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। সেটাফ
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রানা প্লাজা আর তাজরীন ট্রাজেডির পর অনেক উন্নতি হয়েছে তৈরী পোষাক খাতে। কিন্তু বিষয়গুলো কুটনৈতিক চ্যানেলে প্রচার করেনি সরকার। হঠাৎ এই সংকটের পেছনে এমন গাফিলতিও অনেকটা দায়ি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শ্রমিক অধিকারের বিষয়টি অজুহাত মাত্র। মুলত গণতন্ত্র ও অংশগ্রহণমুলক নির্বাচন নিয়ে শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে সরকারের রাজনৈতিক দুরত্বের কারনেই চাপে পড়েছে অর্থনীতি।
বাংলাদেশ থেকে মোট তৈরী পোশাক রপ্তানীর ৫৮ ভাগ ইউরোপ ও ২৭ শতাংশের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। ইউরোপে এখনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব না পরলেও চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানী কমেছে ২৩ শতাংশ।