দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলাকারী যুবলীগের স্থানীয় দুই নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। এদিকে, দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত ইউএনও ওয়াহিদা খানমের গ্রামের বাড়ি নওগাঁয় হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্বজন ও এলাকাবাসী।

ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা করে গ্রেপ্তার হয়েছে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও সদস্য আসাদুল ইসলাম। এছাড়া সন্ত্রাসী হামলার মামলায় সিংড়া ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি মাসুদ রানা, ওয়াহিদার বাসভবনের নৈশপ্রহরী নাহিদ হোসেন পলাশ এবং স্থানীয় রংমিস্ত্রি নবিরুলকেও আটক করেছে পুলিশ। এদিকে, ঘটনাটি আমলে নিয়ে জেলার অন্যান্য উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা জোরদারে প্রতিটি বাসভবনে ১০ জন করে আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। আটক যুবলীগ নেতাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদিকে, দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত ইউএনও ওয়াহিদা খানমের গ্রামের বাড়ি- নওগাঁর মহাদেবপুরে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা। ঘটনার পর থেকেই উৎকন্ঠায় দিন কাটছে তাদের। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে এলাকার মানুষের মাঝে। ওয়াহিদা খানম সুস্থ হয়ে আবার কর্মস্থলে ফিরে আসবে সেই প্রত্যাশার পাশাপাশি তার ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টামূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সহকর্মী, স্বজন ও বিক্ষুব্ধ জনগণ।