ইউক্রেনে জীবাণু অস্ত্র উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্র অর্থায়ন করছে বলে রাশিয়ার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২
- / ১৫৪১ বার পড়া হয়েছে
রাশিয়ার অনুরোধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আজ জরুরি বৈঠকে বসেছে। বৈঠকে ইউক্রেনে জীবাণু অস্ত্র উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্র অর্থায়ন করছে বলে রাশিয়ার অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করা হবে। পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, ইউক্রেনে জীবাণু ও রাসায়নিক অস্ত্রের সম্ভাব্য ব্যবহারের ন্যায্যতা দেয়ার জন্য এ অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। সকালে ইউক্রেনের লুৎস্ক এবং নিপরো নামের দুটি শহরে মিসাইল হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর এই প্রথমবারের মতো শহর দু’টিতে হামলা করলো রুশ বাহিনী।
রাশিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে আজ যোগ হল আরও নতুন ৩ টি শহর। শুক্রবার সকালে ইউক্রেনের লুৎস্ক, দিনিপ্রো ও ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক নামক ৩ টি পৃথক শহরে মিসাইল হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে ইউক্রেন। তবে ভারী অস্ত্রে সজ্জীত রুশ বাহিনীর কাছে প্রতি নিয়ত নাস্তানাবুধ হচ্ছে দেশটি।
ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার অনুরোধে জরুরি বৈঠকে বসেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ইউক্রেনে জীবাণু অস্ত্র তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্র অর্থায়ন করছে এমন অভিযোগ ছিল রাশিয়া। যা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে হয়েছে আলোচনা।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অস্ত্র বানানোর অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি দাবি, ইউক্রেনের মাটিতে কোনো রাসায়নিক অথবা গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন ও ইউরোপের মিত্রদের জন্য প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকার সামরিক ও মানবিক সহায়তা প্যাকেজ মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন পেয়েছে। এ টাকার অর্ধেক খরচ করা হবে ইউক্রেনকে অস্ত্র ও রসদ সরবরাহ এবং বাকি টাকা পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য দেশে মার্কিন সেনা মোতায়েনের জন্য।
ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আপাতত কোনো নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে না। ফ্রান্সে ইইউ নেতাদের সম্মেলন চলাকালে ফেসবুকে ভিডিও পোস্টে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ার অনুরোধ জানান।
এদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার ফোনে কথা হয় দুই নেতার। বিশেষ করে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয় তাদের।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত দশমিক নয় শতাংশে। করোনা মহামারির পর থেকেই দেশটির মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী ছিল। বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটকে কেন্দ্র করে এ সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে।