ইউনিলিভার বাংলাদেশ- এর নতুন এইচআর ডিরেক্টর হলেন সৈয়দা দুরদানা কবির
- আপডেট সময় : ১১:১৭:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৬৩০ বার পড়া হয়েছে
দেশের শীর্ষস্থানীয় নিত্যব্যবহার্য ও ভোগ্যপণ্য (এফএমসিজি) উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) তাদের হিউম্যান রিসোর্স ডিরেক্টর হিসেবে সৈয়দা দুরদানা কবিরের নাম ঘোষণা করেছে। চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে এ নিয়োগ কার্যকর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দুরদানা ইউনিলিভারের ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার এইচআর লিডারশিপ টিমে যোগ দেবেন।
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার পাশাপাশি ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব ও নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সৈয়দা দুরদানা কবিরের ২৫ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ বিস্তৃত অভিজ্ঞতা তাকে নানাবিধ জটিল পরিস্থিতির মধ্যে থেকেও বৈশ্বিক, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করে তার দক্ষতাকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। কর্মজীবনে বিভিন্ন বিভাগে তার পূর্ববর্তী পদগুলোতে দায়িত্ব পালনকালে কার্যকর মানবসম্পদ কৌশল গ্রহণের ক্ষেত্রে তিনি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
ইউবিএলে যোগদানের আগে, ২০১৫ সালে প্রথম নারী এইচআর ডিরেক্টর হিসেবে দুরদানা নেসলে-এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি নেসলে-এর মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর এবং পরবর্তীতে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকা অঞ্চলের ট্যালেন্ট অ্যান্ড অর্গানাইজেশন বিভাগের আঞ্চলিক প্রধান হিসেবে কাজ করেন। দুরদানা স্বনামধন্য ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবন শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইএমবিএ সম্পন্ন করেছেন সৈয়দা দুরদানা কবির।
ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার এ প্রসঙ্গে বলেন, “ইউনিলিভার বাংলাদেশ- এর নতুন এইচআর ডিরেক্টর হিসেবে যোগদান করায় সৈয়দা দুরদানা কবিরকে আমি আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং তার এ নিয়োগ ইউবিএল-এর ব্যবস্থাপনা কমিটিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আমাদের কোম্পানি এমন একটি কাজের ক্ষেত্র তৈরি করতে চায়, যেখানে সকলে নিজের উন্নয়ন ঘটাতে পারবে, এমনকি প্রত্যেক কর্মীকে সমানভাবে দেখার মাধ্যমে তাদের স্বতন্ত্র্য গুণাবলীর বিকাশে উৎসাহ দেওয়া হবে। সাধারণ মানুষকে কেন্দ্র করেই আমাদের ব্যবসা পরিচালিত হয়, এবং বিগত কয়েক দশক ধরে ইউনিলিভার বাংলাদেশ এ খাতে ‘স্কুল অব লিডার’ ও ‘এমপ্লয়ার অব চয়েস’ হিসেবে শীর্ষে অবস্থান করছে। আমার বিশ্বাস, বৈশ্বিক ও স্থানীয় বাজারে দুরদানার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ইউবিএল এর ভবিষ্যত কর্মক্ষেত্রের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালনে এবং কোম্পানিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।”