ঈদকে সামনে রেখে গরু-ছাগল লালন-পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা
- আপডেট সময় : ১০:৫১:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪
- / ১৬৫৪ বার পড়া হয়েছে
বরিশালে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু-ছাগল লালন-পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা।খামারিরা জানান কয়েকদিন পরেই হরদমে শুরু হবে কোরবানির পশু কেনা-বেচা তাই দিনরাত পরিশ্রম করে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।এদিকে,মাদারীপুরে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু পালন করছেন খামারীরা। শেষ মুহুর্তে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন খামারিরা। গতবারের লোকসান আসছে কোরবানীর ঈদে কাটিয়ে নেয়ার আশা।
কোরবানীর ঈদকে ঘিরে পর্যাপ্ত পরিমাণে দেশি জাতের গরু ও ছাগল পালন করা হয়েছে বরিশালের বিভিন্ন খামারিতে। পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ অনেকটা বেড়েছে। একই সঙ্গে চোরাই পথে যাতে ভারতীয় পশু ঢুকতে না পারে সেদিকে নজর রাখার জোর দাবি জানান তারা।
জেলায় চলতি বছর কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ১ লাক্ষ ১২ হাজার ৯৪৭ পশুর আর প্রস্তুত করেছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫৭ পশু।
মাদারীপুরের গননপুরের বাসিন্দা সোহাগ খান। ২০১৮ সালে ১৫টি গরু দিয়ে শুরু করেন মুর্শিদা এ্যাগ্রো ফার্ম। ৫ বছরের মাথায় এখন তার ৩৫টি গরু। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করেছেন।এদিকে পূর্ব ছিলারচরের সজিব হোসেনের মোতাহার হোসেন ডেইরি ফার্ম ২৫টি। বছরজুড়ে খড়, কুটা, খৈল, ভুষি ও ঘাস খাইয়ে গরু পালছেন। কোরবানীর ঈদে সবগুলো গরু বিক্রি হবে এমন আশা তাদের।
জেলার ১০ হাজার খামারে দেশীয় পদ্ধতিতে চলছে প্রায় ৪০ হাজার গরু লালন পালনের কাজ।
জেলার সবগুলো খামারে দিনরাত সমানভাবে ফার্মের গরুগুলোকে কোন ইনজেকশন ও ওষুধ ছাড়াই দেয়া হচ্ছে দানাদার খাবার।
দেশীয় পদ্ধতিতে গরু পালতে খামারিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানায় জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।
ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ করতে পারলে নায্য দামের প্রত্যাশা খামারিদের।