ঈদের টানা ছুটিতে লাখো পর্যটক কক্সবাজারে
- আপডেট সময় : ০৫:২৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ মে ২০২২
- / ১৫৬১ বার পড়া হয়েছে
ঈদের টানা ছুটিতে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত শহর- কক্সবাজারে এখন অবস্থান করছেন লক্ষাধিক পর্যটক। ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেলের ৮০ শতাংশই পর্যটকে পূর্ণ। তাদের স্বাগত জানাতে পেরে খুশি ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে ভ্রমণ নির্বিঘ্ন এবং হয়রানি রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত- কক্সবাজার। যেখানে রয়েছে পাহাড়, সমুদ্র আর প্রকৃতির অপরূপ মিতালী।
বালিয়াড়িতে আছড়ে পড়ছে সাগরের ঢেউ, সেই ঢেউয়ের সাথে খেলা করে সারি সারি ডিঙি নৌকা।
পাহাড়ের সাথে মিতালী করে দীর্ঘ সৈকতের তীর ঘেষে বয়ে গেছে প্রায় ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ। তাইতো টানা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে টানে কক্সবাজারের অপরূপ এই প্রকৃতি।
এবারের ঈদে রয়েছে টানা ৬ দিনের ছুটি। এমন পরিস্থিতিতে নানা প্রস্তুতি শেষ করে পর্যটকদের স্বাগত জানিয়ে খুশি ব্যবসায়ীরা।
ঈদের টানা ছুটিতে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। একই সঙ্গে সব ধরনের হয়রানি রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।
আর নগর পিতা জানালেন, সারাদেশের চলমান উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতায় পর্যটন এলাকার সড়ক উপ-সড়কগুলো নতুনভাবে সংস্কার হওয়ায় পর্যটকদের এবারের ভ্রমণ হচ্ছে আনন্দদায়ক।
এদিকে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় এবার প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ছাড়া বাকি সব পর্যটন স্পটেই ঘোরাফেরা করতে পারছেন পর্যটকরা।
তবে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের চিত্র পুরো উল্টো; দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়ার কারণে ভাটা পড়েছে ঈদ আনন্দে।
করোনার আগে যেখানে ঈদের দিন বিকেল থেকে অন্তত এক সপ্তাহ বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পরা ভিড় থাকে; এ বছর তা একেবারেই ফাঁকা। কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা না থাকায় স্বাভাবিক দর্শনার্থীর ভিড় প্রত্যাশা ছিলো। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নেয়া হয়। কিন্তু ঈদের দিন নামাজের পর থেকে বৃষ্টির কারণে সে আশায় ভাটা পড়েছে। এদিকে শুক্রবার পর্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।