উজানের ঢলে পানির নীচে সিরাজগঞ্জে ২শ’ একর ফসলী জমি
- আপডেট সময় : ০১:৫৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০২২
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
সুনামগঞ্জের ছোট বড় ১৫২টি হাওরের মধ্যে ৫২টি বড় হাওরের ফসল রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে চলতি বছর সরকার ১২১ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও, সঠিক সময়মত কাজ না করায় পাহাড়ী ঢলের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক হাওর। বাঁধ রক্ষায় রাতদিন স্বেচ্ছাশ্রমে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন স্থানীয় কৃষক।
সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় চাষ করা ধান এখনো সবুজ, কাঁচা ধান বাতাসে দোল খাচ্ছে এগুলো পাকতে আরও ১০-১২ দিন লাগবে। ইতিমধ্যে উজানের পাহাড়ি ঢলে কৃষকের শ্রমে ঘামে ফলানো ‘সোনালী ধান’ পড়েছে ঝুকির মুখে। চরম আতঙ্ক আর উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন কৃষকরা।
এরই মধ্যে ধর্মপাশার ডুবাইল হাওর, শাল্লার কইয়ার বন ও পুটিয়ার হাওর, সুনামগঞ্জ সদরের কাংলার হাওর, তাহিরপুরের টাংগুয়ার হাওরের নজরখালী বাধ, মাটিয়ান হাওরের কয়েকটি বাধ ভেঙ্গে ১০ হাজার হেক্টর বোরো ধান তলিয়ে গেছে। ১৫৪টি হাওরে চলতি বছর ২ লাখ ২২ হাজার ৮০৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ৩ হাজার ২২০ কোটি টাকার বোরো ধান উৎপাদিত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
চলতি বছর জেলায় ৫২টি হাওরে ৭২৭টি পিআইসির মাধ্যমে ১২১ কোটি টাকার বাঁধের কাজ করার কথা। বাঁধ নির্মাণ কাজের সময়সীমা ছিল ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি। হাওরের ফসল রক্ষায় সঠিক সময়ে বাধ নির্মান না করায় পাউবো’কে অভিযুক্ত করে আন্দোলণ সংগ্রাম করছে স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।
বিভাগীয় কমিশনারসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বাধঁ পরিদর্শন করেছেন। পিআইসি গঠনে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক।
হাওরের প্রতিটি বাধঁ হুমকির মুখে থাকায় দিনরাত স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করছেন স্থানীয় কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষ।