উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
- আপডেট সময় : ০৬:১৫:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদীভাঙ্গন। পানিবন্দী হয়ে পড়া মানুষের মাঝে রয়েছে শুকনো খাবারের সংকট।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সিরাজগঞ্জে দেখা দিয়েছে বন্যা। যমুনা নদীর পানি ২৪ ঘন্টায় আরো ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।
ফরিদপুরে পদ্মার পানি কমলেও মানুষের দূর্ভোগ কমেনি । পানি নেমে যাওয়ার সাথে-সাথেই তীব্র হয়ে উঠেছে গো-খাদ্যের সংকট
বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলে কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদ সীমার ১৪ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদীর পানিও। এদিকে, তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে জয়কুর গ্রামে।
২৪ ঘন্টায় ফরিদপুরে পদ্মা নদীর পানি একই অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে পদ্মার পানি বিপদ সীমার ৪৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। গত এক সপ্তাহ ধরে আড়িয়াল খাঁ নদে উত্তর পাঁচখোলা এলাকার বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে গেছে।
রাজবাড়ীর অংশে পদ্মার পানি কমার সাথে দেখা দেখা দিয়ে খাদ্যের সংকট। ফলে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার পরিবার তাদের স্বজন ও গবাদি পশু নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে জামালপুরে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রে পানি বৃদ্ধি পেয়ে হুহু করে প্রবেশ করছে বিস্তীর্ণ জনপদে।
পদ্মা-গড়াইতে নদীতে পানি কমতে শুরু করলেও কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার চিলমারিসহ চারটি ইউনিয়ন এবং সদর উপজেলার হাটশ হরিপুরে গড়াই নদীতে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।
বন্যায় নাটোরের লালপুরের চরাঞ্চলে চরম দূর্ভোগে সৃষ্টি হয়েছে। বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায অনেকে উঁচু মাচায় আশ্রয় নিয়েছে।