উদ্বোধনের ৫ বছর পরও পুর্ণাঙ্গরূপে চালু হয়নি আড়াইশ’ শয্যার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল
- আপডেট সময় : ০৬:২৮:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৯০৯ বার পড়া হয়েছে
উদ্বোধনের ৫ বছর পরও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল পুর্ণাঙ্গরূপে চালু না হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। চাহিদার অনুযায়ি চিকিৎসক না থাকায় কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না রোগীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিদিন তিন গুণ বেশি রোগী যেমন ভর্তি হচ্ছে, তেমনই আউটডোরে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে হাজারও রোগীকে। তবে ২৫০ শয্যা চালুর অনুমোদন পেলে এ অবস্থার উন্নতি ঘটবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষের চিকিৎসা সেবার শেষ ভরসা সদর হাসপাতাল। ১৯৭০ সালে ৩১ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরুর পর ২০০৪ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। ২০১৮ সালে নতুন ভবনের উদ্বোধন করা হলেও আজও তার অনুমোদন মেলেনি। মিলেছে ১০০ শয্যার অনুমোদন। এই ১০০ শয্যার বিপরীতে খাদ্য ও ওষুধ পাওয়া গেলেও পাওয়া যায় না চিকিৎসক।
বর্তমানে চিকিৎসক আছেন ১৪ জন। স্বল্প সংখ্যক এই চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা সেবা পাওয়া দূরহ হয়ে পড়েছে। সারা দিনে একবার কোন রকম চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায়। ফলে ঠিক মত চিকিৎসা পাচ্ছেন না রোগীরা।
চিকিৎসক সংকটে দূর-দুরান্ত থেকে আসা রোগীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। তার উপর সময় মতো হাসপাতালে ডাক্তার না আসায় দুর্ভোগের মাত্রা আরো বেড়েছে।
এদিকে..চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নেই চিকিৎসক। জেলাবাসির স্বাস্থ্য সেবার আশ্রয়স্থল হলো সদর হাসপাতাল। ৫০ শয্যার জনবল নিয়েই প্রতিনিয়ত সেবা দেয়া হচ্ছে বলে জানান মেডিকেল অফিসার।
নানা সংকটেও প্রতিদিন ইনডোর ও আউটডোর মিলে ১৩শ’ রোগীর চিকিৎসা দিতে হয়। ২৫০ বেডের অনুমোদন পেলে এ সংকট কেটে যাবে।
চিকিৎসক সংকট সুরাহাসহ সেবার মান উন্নয়নে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে এমনটাই প্রত্যাশা জেলাবাসীর।