ঋণ জালিয়াতিতে সক্রিয় জালিয়াত চক্র; ঘুষ দিয়ে ঋণ নেয়ায় ফেরতে গ্রাহকদের অনীহা
- আপডেট সময় : ০৯:২৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২
- / ১৫৪৯ বার পড়া হয়েছে
ঋণ জালিয়াতিতে প্রতিবছর ব্যাংকিংখাত থেকে লোপাট হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। বিতরণ করা ঋণের বড় অংশই পরিণত হচ্ছে খেলাপি ঋণে। অসৎ কর্মকর্তাদের দাপটে সক্রিয় জালিয়াত চক্র অর্থ আত্মসাৎ করেই চলেছে। ঘুষ দিয়ে ঋণ নেয়ার কারণে অনেক গ্রাহক তা ফেরত দিতে উৎসাহবোধ করেন না। এই দুষ্টচক্রে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। ঝুঁকিতে জনগণের আমানত।
গত এক দশকে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি অঙ্কের অন্তত ১০টি ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে।
এর মধ্যে হলমার্কের ৪ হাজার কোটি টাকা, ক্রিসেন্ট গ্রুপের ৫ হাজার কোটি টাকা, এ্যানন টেক্স গ্রুপের সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা, বিসমিল্লাহ গ্রুপের ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা, সানমুন স্টার গ্রুপের ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকে ৫ হাজার কোটি টাকা এবং সর্বশেষ পিকে হালদারের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছে।
হলমার্কের ৪ হাজার কোটি টাকার বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান বলেন, এ টাকা উদ্ধারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বড় অঙ্কের জালিয়াতি রোধে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকি বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দীন আহমেদ বলেন, প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই ঋণ জালিয়াতি এবং অর্থপাচারের ঘটনাগুলো ঘটছে।
অর্থপাচার রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নজরদারীর পাশাপাশি রাজনৈতিক সদিচ্ছারও প্রয়োজন বলে মনে করেন সাবেক এই গভর্নর।