এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গতবারের চেয়ে বেড়েছে জিপিএ-ফাইভ
- আপডেট সময় : ০৯:৫৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ১৫৩৪ বার পড়া হয়েছে
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ৯টি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডসহ এবছর পাশের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। বেলা ১১টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফল হস্তান্তরের পর তিনি ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। পরে সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আর করোনা মহামারীর মধ্যে বেশিরভাগ সময় ঘরবন্দী থেকেও কাঙ্খিত ফলাফলে উচ্ছ্বসিত ফলপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা।
এ যেন বাঁধভাঙ্গা উল্লাস। করোনাকালে প্রায় পুরো সময়টাই ঘরবন্দী অবস্থায় পার করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে চুড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ। নানা উৎকন্ঠাকে পেছনে ফেলে অবশেষে প্রত্যাশিত ফলাফল। তাই, উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা।
অভিবাবকরাও খুশি সন্তানের কাঙ্খিত ফলাফল হাতে পেয়ে।
এ বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শুধু এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের গড় হার ৯৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এর মধ্যে যশোর শিক্ষা বোর্ডে সর্বোচ্চ ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ। আর, সর্বনিম্ন পাশের হার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
এছাড়া, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৯৬ দশমিক ২০, রাজশাহীতে ৯৭ দশমিক ২৯, কুমিল্লায় ৯৭ দশমিক ৪৯, বরিশালে ৯৫ দশমিক ৭৬, সিলেটে ৯৪ দশমিক ৮০, দিনাজপুরে ৯২ দশমিক ৪৩, ময়মনসিংহে ৯৫ দশমিক ৭১ এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার যথাক্রমে ৯৫.৪৫ শতাংশ ও ৯২.৮৫ শতাংশ।
এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ–ফাইভ পেয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ–ফাইভ পেয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫২২ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন আলিম পরীক্ষায় জিপিএ–ফাইভ পেয়েছে ৪ হাজার ৮৭২ জন। আর, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ–ফাইভ পেয়েছে ৫ হাজার ৭৭৫ জন।
করোনার মধ্যেও পরীক্ষা নেয়া ও ফল প্রকাশে সফলতা পেয়েছেন বলে দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমণি। সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে গবেষণায় মনোযোগ এবং কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে মানসিকতা পরিবর্তনের আহবানও জানান শিক্ষামন্ত্রী।