এক মাসের ব্যবধানে ৩ দফায় পণ্য পরিবহণ ধর্মঘটের মুখোমুখি হয়েছে চট্টগ্রাম
- আপডেট সময় : ০৩:৩৭:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অক্টোবর ২০২১
- / ১৫৫০ বার পড়া হয়েছে
এক মাসের ব্যবধানে ৩ দফায় পণ্য পরিবহণ ধর্মঘটের মুখোমুখি হয়েছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। এতে বন্দরে স্থবিরতা নেমে আসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যে।অফডক কর্তৃপক্ষ বলছে, কথায় কথায় ধর্মঘট ডাকার প্রবণতা বন্ধ না করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জাতীয় অর্থনীতি। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, চট্রগ্রাম বন্দরকে সব ধরনের ধর্মঘটের বাইরে রাখতে সরকারকে ভূমিকা নিতে হবে।
গেল ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের একটি বেসরকারী কন্টেইনার ডিপোতে স্থায়ী নিয়োগপত্রের দাবিতে হঠাৎ ধর্মঘট ডেকে বসে কর্মরত ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও প্রাইমমুভার চালকরা। টানা ৬ দিন বন্ধ থাকে ডিপোর কার্যক্রম। এতে ২ হাজার ৫৩৬ টিউস রপ্তানী পণ্যবাহী কন্টেইনার আটকে যায়। এছাড়া ওই ডিপোর উদ্দেশ্যে আসা প্রায় সমপরিমাণ আমদানী পণ্যবাহী কন্টেইনারও জমে যায় বন্দরের ইয়ার্ডে। রপ্তানীমুখী কন্টেইনারগুলো ডিপোতে আটকে যাওয়ায় ১১টি জাহাজ তাদের স্লট খালি রেখেই নোঙোর তুলতে বাধ্য হয়।
এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর ১৫ দফা দাবিতে ৩ দিনের ধর্মঘট পালন করে ট্রাক কাভার্ডভ্যান ও প্রাইম মুভার চালক মালিকদের একাধিক সংগঠন। এসময় অন্তত ১০ হাজার কন্টেইনারের জট লাগে বন্দর ও ডিপোগুলোতে। অফডক মালিকদের সংগঠন বিকডা বলছে, কথায় কথায় ধর্মঘট ডাকার প্রবণতা বন্ধ না হলে বাধাগ্রস্ত হবে আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য।
আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, শুধু পরিবহন সেক্টর নয়, বন্দর সংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে নেতিবাচক কর্মসূচী থেকে দুরে রাখতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জাতীয় অর্থনীতি।
চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে ১১ হাজার কন্টেইনারবাহী প্রাইমমুভার চলাচল করে সারাদেশে। এর মধ্যে মাত্র ১ হাজার প্রাইমমুভারের মালিক ১৯টি বেসরকারী কন্টেইনার ডিপো বা অফডক কর্তৃপক্ষ। বাকি ১০ হাজার পণ্য পরিবহন ভাড়ায় পরিচালিত হয়। কিন্তু যে কোন আন্দোলনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে বন্ধ করে দেয় পরিবহনের চাকা।