এখন পর্যন্ত গাজীপুর শহরে গড়ে ওঠেনি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
- আপডেট সময় : ০৫:৪৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১
- / ১৬৮৭ বার পড়া হয়েছে
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বয়স ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এই শহরে গড়ে ওঠেনি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। যত্রতত্র মহাসড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে গৃহস্থালি বর্জ্য। এতে মারাত্মক ভোগান্তি পোহাচ্ছে শহরবাসী। অপরিকল্পিত বর্জ্য ফেলায় মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে মানুষ। তবে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে বলে জানিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ।
শিল্প অধ্যুষিত এবং দেশের বৃহৎ আয়তনের গাজীপুর সিটি করপোরেশনে জনসংখ্যা প্রায় ৩৫ লাখ। এত জনসংখ্যা আর কলকারখানায় সমৃদ্ধ হলেও এ এলাকায় বর্জ্য ও পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। নগরজুড়েই ময়লা-আবর্জনা। এখানে কড্ডা সেতুর পাশেই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিশাল ময়লার ভাগাড়। প্রতিদিন শত শত টন ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে এই ভাগাড়ে। এমনিভাবে সিটি করপোরেশনের মূল কেন্দ্র চান্দনা চৌরাস্তা থেকে জয়দেবপুর যেতেও ময়লার ভাগাড় চোখে পড়বে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক জায়গায়। এছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানসহ চট্টগ্রাম বাইপাস সড়কেও ফেলা হচ্ছে বর্জ্য।
টঙ্গী থেকে শুরু করে গাজীপুর শহরের বিভিন্ন স্থানসহ আবাসিক এলাকায় ময়লা–আবর্জনা ফেলায় নগরবাসীর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।মারাত্মক হুমকির মধ্যে রয়েছে পরিবেশ। প্রতিনিয়ত রোগাক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
আবর্জনার কারণে হেলে যাচ্ছে বৈদ্যতিক খুঁটি, করা যাচ্ছে না সংস্কার, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পাশাপাশি বড় দুর্ঘটনার আশংকা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
আমব্রেলা অর্গানাইজেশন হিসেবে পরিবেশ অধিদপ্তর সিটি কর্পোরেশনকে শুধু আবর্জনা ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিতে পারেন, বলে জানান এই কর্মকর্তা ।
তিন হাজার টন ময়লাকে জিরো করে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ মেঘাওমাট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে বলে জানান গাজীপুর সিটি মেয়র।
২০১৩ সালের জুলাইয়ে সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর ইতোমধ্যে কেটে গেছে ৮ বছর। কিন্তু দেশের অন্যতম শিল্প-অধ্যুষিত গাজীপুরে কলকারখানা, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি গড়ে উঠছে অনেকটাই অপরিকল্পিতভাবে।