এগার ঘণ্টার চেষ্টায় ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে নন্দিনী-২ জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে
- আপডেট সময় : ০১:৪৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
- / ১৬৩৬ বার পড়া হয়েছে
বিশেষজ্ঞ টিমসহ ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ১১ ঘণ্টার চেষ্টায় ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সাগর নন্দিনী-২ জাহাজে দ্বিতীয় দফায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। একই সঙ্গে তেল সরাতে আসা সাগর নন্দিনী-৪ জাহাজের আগুন নেভানোর পর সেটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দগ্ধ ১৪ জনের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ দুই পুলিশ সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে। নদীর মধ্যে দু’দফা বিস্ফোরণ ও আগুণের ঘটনা নদী তীরের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে গেছেন।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তৃতীয় দিনে নিখোঁজ চারজনের মরদেহ উদ্ধার শেষে যখন উদ্ধার অভিযান বন্ধ ঘোষণার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল, তখনই আবারও বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো শহর। তেলবাহী জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ এ দ্বিতীয় দফা বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়।
সাগর নন্দিনী-২ এর আগুন তেল সরাতে আসা সাগর নন্দিনী-৪ জাহাজেও ছড়িয়ে পড়ে।জাহাজে থাকা পুলিশ ও তেল ট্যাঙ্কারের কর্মীরা প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাপ দেয়। এতে ১০ পুলিশ সদস্যসহ ১৪ জন দগ্ধ হয়।
দগ্ধদের দ্রুত ঝালকাঠি এবং কয়েকজনকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর দু’জনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
আগুন নেভাতে ঝালকাঠির সঙ্গে বরিশাল ও আশপাশের জেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট যুক্ত হয়। তাদের সহযোগিতা করে কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ।
ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের বিশেষজ্ঞ দল এসে আগুণ নেভানোর কাজে যোগ দেয়। এই টিমসহ ১২ ইউনিটের শ্বাসরুদ্ধকর চেষ্টায় মঙ্গলবার ভোর ৫টায় ট্যাঙ্কারের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
নদীর মধ্যে থাকা তেলবাহি ট্যাংকারে বিস্ফোরণ ও আগুণের ঘটনা সুগন্ধা পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। অনেকেই বিপদের আশঙ্কায় বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে যান ।