এবারও হরমোন ইনজেকশন এবং রাসায়নিক ওষুধ প্রয়োগ না করে কোরবানির পশু মোটাতাজা খামারিরা
- আপডেট সময় : ০১:৪৩:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১
- / ১৫৫৫ বার পড়া হয়েছে
প্রতি বছরের মত এবারও হরমোন ইনজেকশন এবং রাসায়নিক ওষুধ প্রয়োগ না করে কোরবানির পশু মোটাতাজা করেছেন নরসিংদীর খামারিরা। দেশীয় খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করা এসব পশুর বাজারে চাহিদা বেশি বলে জানিয়েছেন খামারিরা। দিনাজপুরে জমে উঠেছে গরুর হাটগুলো। দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিধি মানাতে ইজারাদার ও স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে মনিটরিং।
দিনাজপুরের হাটে এখন গরু ছাগলের হাক ডাক। সাথে চলছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের দর কষাকষি। তবে দাম নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এদিকে হাট ইজারাদাররা বলছে এবার ভালো দামে পশু বিক্রির আশা করা যাচ্ছে। এদিকে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে প্রতিটি হাটে বসেছে ক্যাম্প ।তারা ক্রয় কৃত গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন। দেখভাল করছেন দামের বিষয়টিও।
জেলার ১৩টি উপজেলায় স্থায়ী পশুহাট ১৮ টি অস্থায়ী হাট ৪১ টি। এছাড়া সব হাট বসবে কিনা তার সিদ্ধান্ত দিবে স্থানীয় প্রশাসন।জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলায় প্রেরণ করা হবে প্রায় ৫৬ হাজার পশু।
নরসিংদীর ৬ উপজেলায় ৬ হাজার ৭ শত ৬২ জন খামারি দেশীয় পদ্ধতিতে কোরবানির পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। এর বাইরেও পারিবারিকভাবে আনুমানিক ১০/১২ হাজার কৃষক ১-২টি করে কোরবানির পশু মোটাতাজা করছেন। এতে জেলার কোরবানির পশুর চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে বলে মনে করছেন প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।
এ বছর জেলায় ৫৫ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদার বিপরীতে গরু ও মহিষসহ ৬০ হাজার ৯১০টি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত হয়েছে।