এর্দোয়ান রাজি, ন্যাটোর সদস্য হচ্ছে সুইডেন
- আপডেট সময় : ১২:২০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩
- / ১৮৬৯ বার পড়া হয়েছে
অবশেষে জট কাটলো। সুইডেন এবার ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে। সোমবার লিথুয়ানিয়ায় বৈঠকে বসেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান, সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টারসন এবং স্টলটেনবার্গ। এই বৈঠকের পরেই স্টলটেনবার্গ ঘোষণা করেন, ”খুবই আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, সুইডেনকে ন্যাটোর সদস্য করার প্রস্তাব অনুমোদন করতে রাজি হয়েছেন এর্দোয়ান। তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তুরস্কের গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে প্রস্তাব অনুমোদন করবেন। এর ফলে ন্যাটো আরো শক্তিশালী হবে।”
ন্যাটোর নিয়ম হলো সব সদস্য দেশ অনুমোদন করলে তবেই নতুন কোনো দেশ সদস্য হতে পারে। সুইডেনের ক্ষেত্রে বাকি সব দেশ রাজি ছিল। এর্দোয়ান শুধু কয়েকটি শর্ত চাপিয়েছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম ছিন, পিকেকে-কে জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণা করতে হবে এবং সংগঠনের সদস্যদের কোনো কাজ বরদাস্ত করবে না সুইডেন। কিছুদিন আগে ঈদের সময় সুইডেনের মসজিদের সামনে আদালতের অনুমতিতে কোরআন পোড়ানোর পর পরিস্থিতি আরো জটিল হয়।
তিন নেতা একসঙ্গে একটা বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে অবশ্য কতদিনের মধ্যে তুরস্কের পার্লামেন্ট এই সিদ্ধান্তকে অনুমোদন করবে তা বলা হয়নি।
তবে স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ”এটা একটা ঐতিহাসিক দিন।” আর সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ”সুইডেনের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন। একটা বড় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।”
হাঙ্গেরির তরফে জানানো হয়েছে, এর্দোয়ান রাজি হলে তারাও সুইডেনের সদস্য হওয়া নিয়ে আপত্তি করবে না।
এর্দোয়ান এবং ইইউ সদস্যপদ
এর্দোয়ান যে এইভাবে তার সিদ্ধান্ত বদল করবেন, তা আগে থেকে অনেকেই আঁচ করতে পারেননি। বৈঠকে বসার কয়েকঘণ্টা আগেও এর্দোয়ান বলেন, ”সুইডেনকে ন্যাটো সদস্য করতে গেলে তুরস্ককে ইইউ-র সদস্য করতে হবে।”
এর্দোয়ান ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের চেয়ারম্যান চার্লস মিশেলের সঙ্গেও আলাদা করে বৈঠক করেন। পরে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেছেন, ”ইইউ ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্ককে তারা সর্বাধিক গুরুত্ব দেবেন। এই সম্পর্ককে আবার ভালো করা হবে।”
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীও জানিয়েছেন, তারা চান, ইইউ ও তুরস্ক আরো কাছে আসুক ও সমন্বয় করে চলুক।
বাইডেন খুশি
বাইডেন জানিয়েছেন, এর্দোয়ানের সিদ্ধান্তে তিনি খুশি। তিনি এর্দোয়ানের সঙ্গে একযোগে কাজ করে ইউরো-অ্যাটলান্টিক অঞ্চলের নিরাপত্তা বাড়াবেন।
বাইডেন জানিয়েছেন, ”ন্যাটোর ৩২তম সদস্য দেশ হিসাবে সুইডেনকে তিনি স্বাগত জানাচ্ছেন। আমাদের সকলের চেষ্টা সফল হলো। আমরা আরো বেশি নিরাপদ হলাম।”
ডয়চে ভেলে